মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্রে শান্তিরক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার সময় মাইন বিস্ফোরণে নিহত সৈনিক জাহাঙ্গীর আলমের নীলফামারী জেলার ডিমলা উপজেলার সদর ইউনিয়নের দক্ষিণ তিতপাড়া গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। তিনি ওই এলাকার লতিফর রহমানে ছেলে। লতিফর রহমানের পাঁচ ছেলের মধ্যে জাহাঙ্গীর চতুর্থ ছিলেন।
জানা গেছে, ২০১৫ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে যোগ দেন জাহাঙ্গীর আলম। ১০ মাস আগে মধ্য আফ্রিকান প্রজাতেন্ত্রর ব্যানব্যাট-৮ এলাকার উইক্যাম্পে শান্তিরক্ষী মিশনে যান তিনি। মঙ্গলবার (০৪ অক্টোবর) সকালে সেবাবাহিনীর একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মোবাইল ফোনে জাহাঙ্গীর আলমসহ তিনজন নিহত হওয়ার বিষয়টি পরিবারকে জানান।
নিহত হওয়ার খবরে জাহাঙ্গীর আলমের পরিবারে বইছে শোকের মাতম। বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন বাবা লতিফর রহমান। বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন মা। শোক প্রকাশ করেছেন তার পাড়া প্রতিবেশীরাও।
মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) রাতে জাহাঙ্গীরের বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, সন্তানের জন্য আহাজারি করছেন তার বাবা-মা। বাড়ির উঠানে বসে অঝোরে কাঁদছেন জাহাঙ্গীরের স্ত্রী শিমু আক্তার। তাকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন স্বজনরা। স্বজনদের আহাজারিতে শোকের ছায়া নেমেছে পুরো গ্রামে।
এক বছর আগে বিয়ে করেছিল সৈনিক জাহাঙ্গীর আলম। স্ত্রী শিমু আক্তার স্বামীর ছবি বুকে নিয়ে আহাজারি করছেন। মাঝেমধ্যে চিৎকার দিয়ে কাঁদছেন। কেঁদে কেঁদে বারবার বলছিলেন, ‘বলেছিল এবার ঈদে বাড়ি আসবে, আর আইলো না। লাশ হয়ে ফিরলো।’
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ