ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেডের (এপিএসসিএল) পাঁচটি ইউনিটে বিদ্যুৎ উৎপাদন একযোগে বন্ধ হওয়ার পর অবশেষে দুটি ইউনিটে স্বাভাবিক হয়েছে।
জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয়ের কারণে সাড়ে ৫ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ইউনিট দুটি সচল হয়। তবে এখনও বন্ধ রয়েছে আরো তিনটি ইউনিটের উৎপাদন।
আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্র জানায়, দুপুর ২টার দিকে জাতীয় গ্রিডে বিপর্যয় দেখা দিলে ৪৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্ট (নর্থ ও সাউথ), ২২৫ মেগাওয়াওয়ট ক্ষমতাসম্পন্ন কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্ট, ২২৫ মেগাওয়াটের কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্লান্ট এবং ৫০ মেগাওয়াটের গ্যাস ইঞ্জিন ইউনিটি এবং ইউনিট-৫ এর উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে জাতীয় গ্রিডে প্রায় ৯০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যহত হয়।
আশুগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী মোহা. আব্দুল মজিদ জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় দুটি ইউনিটের উৎপাদন শুরু হয়। বাকি ইউনিটগুলো সচল করার চেষ্টা চলছে।
এদিকে জাতীয় গ্রিডের সমস্যা কোথায় এবং কোন ধরনের সমস্যা হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি)।
এপিএসসিএল ও পিজিসিবি সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় গ্রিড লাইনে ত্রুটি দেখা দেয়ায় মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে এপিএসসিএল’র আওতাধীন চালু থাকা ৪৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট (নর্থ ও সাউথ), ২২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট, ২০০ মেগাওয়াটের ইউনাইটেড পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং ৫৩ মেগাওয়াটের গ্যাস ইঞ্জিন একযোগে বন্ধ হয়ে যায়।
এ বিষয়ে আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক (কারিগরি) প্রকৌশলী মো. শাহ আলম খান বলেন, গ্রিড লাইনে ত্রুটির কারণে কেন্দ্রের চালু থাকা পাঁচটি ইউনিট বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় ইউনিটগুলো থেকে প্রায় ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছিল।
এপিএসসিএলের ব্যবস্থাপনা প্রকৌশলী এ এম এম সাজ্জাদুর রহমান বলেন, এরই মধ্যে পাওয়ার (বিদ্যুৎ) এসেছে এবং বন্ধ হওয়া ইউনিটগুলো পুনরায় চালুর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ