কক্সবাজারের টেকনাফে সাগরপথে পাচারকালে মালয়েশিয়াগামী ট্রলার ডুবির ঘটনায় এবার মৃতদেহ ভেসে আসতে শুরু করেছে। এ পর্যন্ত ৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফের বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ি তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক নূর মোহাম্মদ।
তিনি জানান, মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শীলখালীস্থ সাগর উপকূল থেকে ভেসে আসা এ ৩ নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। জেলেদের দেওয়া তথ্য মতে, আরও মৃতদেহ সাগরে ভাসছে।
এর আগে সকাল থেকে এ পর্যন্ত ট্রলার ডুবির ঘটনায় সাঁতরিয়ে কূলে আসা ৩৫ রোহিঙ্গাসহ ৩৯ জনকে উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। এদেরও পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
কোস্টগার্ডের টেকনাফের বাহারছড়া আউটপোস্ট স্টেশনের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, মঙ্গলবার ভোর রাতে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের হলবনিয়া পাড়া এলাকার উপকূলবর্তী গভীর সাগরে ট্রলার ডুবির এ ঘটনা ঘটেছে। উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে ৫ জন নারীসহ ৩৫ জন রোহিঙ্গা এবং অপর ৪ জন বাংলাদেশি।
কোস্টগার্ডের এ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ট্রলারে কতজন ছিল তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সাগরে আরও অনেকে ভাসছে বলে উদ্ধার হওয়ারা জানিয়েছে। এতে প্রাণহানির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে উদ্ধার লোকজনের দাবি, উপকূল থেকে প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার দূরে ট্রলারটি ডুবে যায়। এতে অনন্ত শতাধিক মালয়েশিয়াগামি ছিল।
উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে কয়েকজনের সাথে আলাপকালে তারা জানিয়েছেন, বিভিন্ন অংকের টাকা পরিশোধ আবার অনেকেই মালয়েশিয়ায় পৌঁছে টাকা দেওয়ার শর্তে মালয়েশিয়ায় যাত্রা দিয়েছিলেন তারা। কিন্তু ট্রলারে অতিরিক্ত সংখ্যক মানুষ তুলে মাঝ সাগরে অপেক্ষামান জাহাজে নিয়ে যাওয়ার সময় ট্রলার ডুবে যায়। এতে যারা সাঁতার কেটে কূলে আসতে পেরেছেন, এসেছেন এবং অন্যরা নিখোঁজ।
তাদের দেওয়া তথ্য মতে, দালাল চক্র শতাধিক নারী-পুরুষকে উখিয়ার কুতুপালং, লম্বাশিয়া, বালুখালী, মধুরছড়া ক্যাম্প থেকে গাড়িতে তুলে নিয়ে আসে টেকনাফের বাহারছড়া গ্রামে।
নয়াশতাব্দী/এফআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ