সাফ জয়ী বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের স্ট্রাইকার কৃষ্ণা রানী সরকারকে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে।
শনিবার (১ অক্টোবর) দুপুরে জেলা ক্রীড়া সংস্থার উদ্যাগে এ সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়। একই সাথে জাতীয় নারী দলের ফুটবল কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনকেও সংবর্ধনা দেয়া হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে কৃষ্ণা ও কোচ ছোটন লাল গালিচার সংবর্ধনা ও ক্রেস্ট দিয়ে সম্মান করা হয়।
সংবর্ধণা অনুষ্ঠানে জেলা ক্রীড়া সংস্থার পক্ষ থেকে কৃষ্ণা রাণী সরকারকে এক লাখ ও কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটনকে পঞ্চাশ হাজার টাকা দেয়া হয়। জেলা পরিষদের প্রশাসক ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান ফারুক কৃষ্ণা ও কোচ ছোটনকে স্বর্ণের চেন উপহার দেন। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কৃষ্ণাকে এক লাখ, ছোটনকে পঞ্চাশ হাজার, পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে কৃষ্ণাকে এক লাখ ও ছোটনকে পঞ্চাশ হাজার, স্থানীয় আসনের সংসদ সদস্যের পক্ষ থেকে দুইজনকে পঁচিশ হাজার টাকা দেয়া হয়।
জেলা প্রশাসক আতাউল গনির সভাপতিত্বে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক ফজলুর রহমান খান, স্থানীয় সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন, পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান আনছারী, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মির্জা মইনুল হোসেন লিন্টু প্রমুখ।
কৃষ্ণা রানী সরকার বলেন, নিজের জেলা থেকে সংবর্ধনা পেয়ে খুব ভালো লাগছে। যেভাবে সংবর্ধনা দেয়া হলো তা, সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা। সামনে অনেক খেলা রয়েছে, সেগুলো আমরা ভালো কররো। পৃথিবীর আলো দেখার পর কখনোই সুখের মুখ দেখিনি। যেদিন থেকে বুঝতে শিখেছি, সেদিন থেকেই বাবাকে কষ্ট করতে দেখেছি। আমার এই সাফল্য কোচ ও শিক্ষকদের সহযোগিতার জন্য হয়েছে। আমি তাদের ও টাঙ্গাইলবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। আরও ভাল খেলে দেশকে কিছু উপহার দিতে পারি সেজন্য সকলের দোয়া চাই।
কৃষ্ণার বাবা বাসুদেব চন্দ্র সরকার বলেন, মেয়ের সাফল্যে খুব খুশি হয়েছি। মানুষ ফুল নিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। কৃষ্ণা যেন দেশের জন্য আরও গৌরব বয়ে আনতে পারে সেই আশীর্বাদ চাই।
কোচ গোলাম রোব্বানী ছোটন বলেন, দেশের জন্য আরো কিছু করতে চাই। নিজেকে অনেক ভাল লাগছে নিজের জন্মভূমিতে সংবর্ধনা পেয়ে।
এর আগে ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা থেকে কৃষ্ণা নিজ বাড়ি টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার উত্তর পাথালিয়া গ্রামে আসেন।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ