ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

পারিবারিক পুষ্টি বাগান, মিটছে চাহিদা হচ্ছে আয়

প্রকাশনার সময়: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২৩:০৫ | আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২৩:২৪

পুষ্টির চাহিদা মিটাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দিন দিন বাড়ছে পারিবারিক পুষ্টি বাগানের সংখ্যা। চলতি মৌসুমে গত বছরের তুলনায় নতুন করে ১৬৬০টি বাগান স্থাপিত হয়েছে। বাড়ির আঙ্গিনায় দেড় শতক জায়গায় রয়েছে এমন প্রান্তিক কৃষককে প্রকল্পের আওতায় এনে এ বাগান স্থাপন করা হয়। পুষ্টি বাগানে হরেক রকমের গ্রীম্মকালীন ও শীতকালীন সময়ে সবজি চাষ করা হয়। যা দিয়ে একটি পরিবারের এক বছরের পুষ্টির চাহিদা মিটানোর পাশাপাশি বাড়িত আয়ও হচ্ছে।

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পতিত জমি ও বসত বাড়ির আঙ্গিনায় প্রথম পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। এ সময় জেলায় ৩হাজার ৪০টি পুষ্টি বাগান স্থাপিত হলেও ২০২১-২০২২ অর্থবছরে নতুন আরো ১৬৬০টি বাগান স্থাপিত হয়েছে। বাগান স্থাপনে পর্যাপ্ত সহায়তা দেয়ার পাশাপাশি জেলায় ১০ সহস্রাধিক বাগান স্থাপনের পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছে কৃষিবিভাগ।

কৃষকরা জানিয়েছেন, এসব বাগানে মওসুম ভেদে উৎপাদিত হচ্ছে বিভিন্ন রকমের সবজি। উৎপাদিত গ্রীষ্মকালীন সবজির মধ্যে রয়েছে ঢেঁড়শ, বেগুন, লাউ, লাল শাক, পুঁই শাক, কালমি শাক, পালং শাক, ডাটা শাক। এছাড়াও ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলা, গাঁজর, মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন শীতকালীন বিভিন্ন সবজি উৎপাদিত হচ্ছে।

কৃষক আব্দুস ছালেক বলেন, পুষ্টি বাগান করতে বাঁশ, বেত, বেড়া, সার ও বীজ দিয়ে কৃষি বিভাগ আমাদের সহায়তা করছে। বাড়ির পাশে খালি জায়গায় বিভিন্ন ধরনের সবজি চারা লাগিয়ে তা চাষ করছি। এতে সারা বছর সবজির চাহিদা মিটছে।

কৃষক রমজান মিয়া বলেন, দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এমনিতেই আমাদের হিমশিম খেতে হয়। সবজির বাজারেও সব কিছু দাম বেশী। তাই বাড়ির আঙ্গিনায় সবজি চাষ করে পরিবারের চাহিদা মিটাতে পেরে আমরা ভাল আছি। অতিরিক্ত সবজি বাজারে বিক্রি করে বছরে ৩০/৩৫ হাজার টাকা আয়ও হচ্ছে।

নারী কৃষক রহিমা বেগম বলেন, আমার পরিবারে পাঁচজন সদস্য রয়েছে। সকলে মিলে বাড়ির আঙ্গিনায় লাউ, ঢেঁড়শ, টমেটো, ঝিঙ্গা, মিষ্টি কুমড়া চাষ করেছি। এতে আমাদের পরিবারের পুষ্টির চাহিদা মিটছে।

বিজয়নগর উপজেলার উপ সহকারি কৃষি অফিসার মো. হাদিউল ইসলাম বলেন, ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক যাদের দেড়শতক পতিত জমি রয়েছে তাদেরকেই এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে বাগানগুলো পরিদর্শন করে কৃষি বিভাগ থেকে সহায়তা করা হচ্ছে।

জেলা কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক সুশান্ত সাহা বলেন, বাগান স্থাপনে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে। সারা বছর যাতে একজন কৃষক সবজি উৎপাদন করতে পারে সেজন্য সার, বীজ, বেড়াসহ সার্বিক সহায়তা দেয়া হচ্ছে। আগামী ২/১ বছরের মধ্যেই ১০ হাজার বাগান স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে।

নয়াশতাব্দী/এমএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ