ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

হিসেব মেলাতে পারছে না মেসের শিক্ষার্থীরা!

প্রকাশনার সময়: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৭:৩০ | আপডেট: ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২১:০৭

নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামে তালমাতাল বাংলাদেশের বাজার। ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধ শুরুর পর থেকে বিশ্ব বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম বাড়লে সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ব বাজারে কমে এসেছে বিভিন্ন ভোগ্যপণ্যের দাম। কিন্তু তারপরও কোনো এক অজানা কারণে কমছে না বাংলাদেশের ভোগ্যপণ্যের দাম। প্রতি নিয়তই বাজারে বাড়ছে জিনিস পত্রের দাম। এর প্রভাব পড়েছে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ঢাকায় পড়াশোনা করতে আসা সাধারণ শিক্ষার্থীদের জীবনে।

দেশে পড়াশোনার পাশাপাশি তেমন কোনো পার্টাইম জব না থাকায় ঢাকায় থাকা শিক্ষার্থীদের টিউশনির উপর নির্ভর করে পড়াশোনা এবং থাকা-খাওয়ার খরচ বহন করতে হয়। কিন্তু বর্তমানে ঊর্ধ্বমুখী ভোগ্যপণ্যের বাজারের কারণে মেসের হিসেব মেলাতে পারছে না ঢাকার মেসে থাকা এইসব শিক্ষার্থীরা।

তারা বলছেন, বর্তমান বিশ্ব বাজারে জিনিসপত্রের দাম কমলেও আমাদের দেশে তার উল্টো, যার ফলে প্রতিমাসেই আমাদের অতিরিক্ত অনেক টাকা খরচ হচ্ছে। ফলে আমাদের পড়াশোনায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। এখন শুধু টিউশনির উপর নির্ভর করে আমাদের পড়াশোনা সহ থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না। তাই বিশ্ব বাজারের সাথে আমাদের সমন্বয় করা প্রয়োজন। এভাবে চলতে থাকলে ঢাকা শহরে আমাদের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব না। তাই বাংলাদেশ সরকারের কাছে আমাদের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বিষয়টি দেখার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

এই বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষা বর্ষের শিক্ষার্থী ইমরান জানান, গতমাসে আমাদের মেসের মিলরেট ছিল ৩৪.৫৫ টাকা যা এই মাসে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮.২০ টাকা। তিনি বলেন বাজারের ঊধ্বমুখী ভোগ্যপণ্যের দামের কারণে আমাদের খাওয়া- দাওয়ার উপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে। অতিরিক্ত দামের কারণে ভালো কোনো খাবার গ্রহণ করতে না পাড়ায়, আমাদের শারিরীক ও মানসিক অবস্থার উপর প্রভাব ফেলছে। সর্বোপরি এর প্রভাব পড়ছে আমাদের পড়াশোনার উপর। তাই সরকারের উচিৎ বিশ্ব বাজারে সাথে সমন্বয় করে আমাদের দেশের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম ঠিক করা।

এই বিষয়ে মেসে থাকা শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের একাউন্টিং বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী রাকিব বলেন, গত মাসের চেয়ে খারাপ খেয়েও এই মাসে আমাদের মিলরেট বেশি হয়েছে। এভাবে জিনিসপত্রের দাম বাড়লে পড়াশোনার খরচ চলাতে না পেড়ে হয়তো পড়াশোনাই ছেড়ে দিতে হবে। তাই বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে, শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট বিষয়টির উপর বাংলাদেশ সরকারের বিশেষ নজর দেয়া প্রয়োজন।

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ