ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের সারমিন নামে এক তরুণীর সাথে দীর্ঘ ১ বছর তিন মাস আগে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে উপজেলা পৌর শহরের ব্রাক অফিস সংলগ্ন মৃত হাসমত আলীর পুত্র অলিউর এর সাথে। বিভিন্ন সময় বিয়ের প্রলোভনে তাদের মাঝে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে সারমিনের শরীরের পরিবর্তন দেখা দিলে উপজেলার মদিনা ক্লিনিকে পরীক্ষা করে দেখা যায় সে ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এ বিষয়ে অলিউর সহ তার পরিবারকে জানালে তারা বিষয়টি অস্বীকার করে।
পরবর্তীতে গত ১৭ সেপ্টেম্বর বিয়ের দাবিতে অলিউরের বাড়িতে অবস্থান নিলে ঐ তরুণী ও তার ফুপুকে বেধড়ক মারধর করে অলিউরের পরিবার। পরে ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
তরুণী সারমিন জানান, পৌর শহরের ব্রাক অফিস সংলগ্ন এলাকায় তার ফুপুর বাড়িতে যাওয়া আসার সুবাদে পরিচয় হয় অলিউরের সাথে। এক পর্যায়ে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। অলিউর তার পরিবারের সদস্যরা বাসায় না থাকলে প্রায়ই তাকে ডেকে নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে। হঠাৎ তার শরীরে পরিবর্তন দেখা দিলে বিষয়টি পরিবারে জানাজানি হয়। পরে অলিউর কে বিষয়টি জানালে সে অস্বীকার করে এড়িয়ে যায়।
ওই তরুণীর ভাই কাউসার জানান, বিষয়টি নিয়ে নন্দুয়ার ও হোসেনগাঁও ইউনিয়নের ২ চেয়ারম্যান সহ বসা হলেও বিষয়টির সমাধান তারা দিতে পারেনি। নানা তালবাহানা দেখিয়ে তারাও বিষয়টি এড়িয়ে যান।
হোসেনগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মতিউর রহমান মতি মুঠোফোনে জানান, আমরা উভয় পরিবার নিয়ে একটি সালিশে বসে ছিলাম। কিন্তু ছেলে বিষয়টি অস্বীকার করে। পরে আমাদের পক্ষ থেকে ঐ মেয়েকে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
রাণীশংকৈল থানা অফিসার ইনচার্জ এস এম জাহিদ ইকবাল জানান, ওই বিষয়ে থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে।
নয়াশতাব্দী/এমএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ