ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

যুবদল কর্মী শাওনের মৃত্যু ইটের আঘাতে: পুলিশ

প্রকাশনার সময়: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৫:১০

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষে যুবদল কর্মী শহীদুল ইসলাম শাওনের (২৩) মৃত্যু বুলেটে নয়, মাথায় ইটের আঘাতে হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুন্সীগঞ্জের পুলিশ সুপার মো. মাহফুজুর রহমান আল মামুন।

বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি।

পুলিশ সুপার জানান, ২১ সেপ্টেম্বর বিকেলে পুরাতন ফেরিঘাটে সদর উপজেলা বিএনপি ও মুন্সীগঞ্জ পৌর বিএনপির নেতাকর্মীরা অনির্ধারিত সমাবেশ ও ঝটিকা মিছিল বের করে। এসময় তাদের অন্তর্কোন্দলের জের ধরে নিজেদের মধ্যে মারামারি শুরু করে। তারা শ্রমিক লীগের অফিস ভাঙচুর করলে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। এমন পরিস্থিতিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হলে বিএনপি নেতাকর্মীরা মারমুখি হয়ে উঠে। এসময় চারদিক থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। ইটের আঘাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল, সদর থানার ওসিসহ অন্তত ১৬ পুলিশ সদস্য আহত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শর্টগানের রাবার কার্তুজ ও গ্যাসশেল নিক্ষেপ করে। বিএনপি নেতাকর্মীরা ৩-৪টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। পরে পুলিশ ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করে।

তিনি জানান, ওই দিনের ঘটনায় নৈরাজ্য সৃষ্টি করাসহ আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে বাঁধা দেওয়ার অভিযোগ পুলিশ ও পাবলিক বাদী হয়ে পৃথক দু’টি মামলা রুজু করা হয়।

মাহফুজুর রহমান আল মামুন দাবি করেন, যুবদলের কর্মী শাওন বিএনপির অপর এক কর্মীর পেছন থেকে ছুড়ে মারা ইটের আঘাতে আহত হন। গুরুতর অবস্থায় স্বজনরা তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে ২২ সেপ্টেম্বর দিনগত রাত ৯টার দিকে তিনি মারা যান।

পুলিশ সুপার উল্লেখ করেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সম্মুখে নিহত শাওনের লাশের সুরতহাল সম্পন্ন করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেকের ফরেনসিক বিভাগে হস্তান্তর করে। ফরেনসিক বিভাগ নিহতের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করতে চূড়ান্ত মতামত প্রদানের ভিসেরা পরীক্ষা করে। তাতে মাথায় আঘাতজনিত কারণেই মৃত্যু হয়েছে বলে মতামত প্রদান করেছে। নিহত শাওনের মাথার পেছনে থেতলানো আঘাত রয়েছে বলেও উল্লেখ রয়েছে। গান শুটের কোনো আঘাত নেই।

প্রসঙ্গত, গত ২১ সেপ্টেম্বর বিকেলে জেলা শহরের মুক্তারপুর এলাকার পুরাতন ফেরিঘাটে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশ, সাংবাদিক ও পুলিশসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় যুবদল কর্মী শহীদুল ইসলাম শাওন ও জাহাঙ্গীর মাদবরসহ ৩ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে ২২ সেপ্টেম্বর দিনগত রাতে যুবদল কর্মী শাওন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নিহত শাওন উপজেলার মিরকাদিমের মুরমা গ্রামের অটোরিকশা চালক সোয়াব আলী ভুইয়ার ছেলে। বাবা-মা ও স্ত্রী ছাড়াও তার আট মাস বয়সের এক ছেলে রয়েছে।

নয়াশতাব্দী/জেডআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ