ঢাকা, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সরিষাবাড়িতে দেবর-ভাবীর পরকীয়ার বলি গৃহবধূ

প্রকাশনার সময়: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৯:১৮

জামালপুরের সরিষাবাড়িতে স্বামীর নির্যাতনে সীমা আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। তার স্বামী ও জা’র মধ্যে পরকীয়া প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে এ ঘটনা ঘটে বলে নিহতের পরিবার অভিযোগ করেছেন।

মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের ডোয়াইল গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

নিহত গৃহবধূ ওই গ্রামের মুদি দোকানদার জুয়েল রানার স্ত্রী। নিহতের ৪ মাস বয়সী একটি ছেলে সন্তান রয়েছে। এদিকে ঘটনার পর থেকে ঘাতক স্বামী ও পরিবারের লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছে।

নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, ডোয়াইল গ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেলে জুয়েল রানার সাথে তার ভাবী রেখা বেগমের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া প্রেমে চলে আসছিলো। এ নিয়ে তিন বছর আগে জুয়েল ও তার প্রথম স্ত্রীর মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর চর বালিয়া গ্রামের সুরুজ ভুঁইয়ার মেয়ে সীমা আক্তারকে জুয়েল রানা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এ বিয়ের পরও ভাবীর সাথে জুয়েলের পরকিয়া চলতে থাকায় স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কয়েকদিন ধরে দাম্পত্য কলহ চলছিলো।

এ নিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় জুয়েল ও তার পরিবারের লোকজন সীমাকে বেধড়ক মারপিট করে। অবস্থা বেগতিক দেখে তাকে টাঙ্গাইলের ধনবাড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এদিকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা দামাচাপা দিতে হাসপাতাল থেকে মরদেহ আনার পথে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যু বলে প্রচার করা হয়। পথিমধ্যে কেন্দুয়া বাজার এলাকায় নিহতের পরিবার মরদেহ দেখতে চাইলে জুয়েল আপত্তি জানায়। পরে পুলিশ গিয়ে রাতেই মরদেহ উদ্ধার করে।

সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ মহব্বত কবীর জানান, স্বামী ও তার পরিবারের লোকদের নির্যাতনে গৃহবধূ সীমার মৃত্যু হয়। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে ঘাতক স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি বলেও তিনি জানান।

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ