মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে লাউয়াছড়া বনের ভেতর রাতের আঁধারে ফের গাছ ফেলে যানবাহনে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়কের লাউয়াছড়া বনের মুজিবের টিলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় মুখোশপরা ১৪/১৫ জনের ডাকাতদল ২০-৩০টি গাড়ি আটকে চালক ও যাত্রীদের মারধর করে মোবাইল ফোন ও নগদ টাকাসহ কয়েক লাখ টাকার মালামাল লুট করে। এতে আহত হয়েছেন ৪ থেকে ৫ জন যাত্রী।
এর আগে গত ১৭ জুলাই একই স্থানে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল। এ নিয়ে গত ৪ মাসে ৩ বার ডাকাতির ঘটনার কারণে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীরা জানান, রাত সাড়ে ১১টার দিকে একটি বড় গাছ ফেলে দিয়ে সড়ক অবরোধ করে ১৪-১৫ জনের একটি ডাকাতদল। প্রথমে গাড়ি থামায়, এরপর ডাকাত দলের সদস্যরা মুখোশপরা অবস্থায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সিএনজি, মাইক্রোবাস, ট্রাক, পিকআপে হামলা চালায়। এ সময় বিভিন্ন যাত্রী ও চালকদের মারধর করে হাতে থাকা মোবাইল ফোন, নগদ টাকাসহ কয়েক লাখ টাকার মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নেয়।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আলাউদ্দীন, মোহাম্মদ আসিফসহ কয়েকজন জানান, অনেক যাত্রী ও চালক মালামাল না দেয়ায় তাদেরকে গামছা দিয়ে হাত-পা বেঁধে রেখেছিল ডাকাত দল। মুখোশপরা ২ জন ডাকাত তাদের গাড়িতে হামলা চালায়। তারা হাতে থাকা মোবাইল ও সঙ্গে থাকা জিনিসপত্র দিতে বলে। দা দিয়ে কুপ মারা ভয় দেখিয়ে সবকিছু নিয়ে যায়।খবর পেয়ে ঘটনার একঘণ্টা পর রাত সাড়ে ১২টার দিকে প্রথমে শ্রীমঙ্গল থানা ও পরে কমলগঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার আগেই পালিয়ে যায় ডাকাতদল। পরে পুলিশ সড়কে রাখা কাটা গাছ সরিয়ে দিলে সড়কে যানবাহন চলাচল শুরু হয়।
অপরদিকে গত ৪ মাসে ৩টি ডাকাতি ঘটনার কোনো সুরাহা না হওয়ায় জনমনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল সড়কে ঘনঘন ডাকাতিন ঘটনা ঘটলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান বলেন, ঘটনার পর সারারাত অভিযান চালিয়েও পাহাড়ি এলাকায় কাউকে পাওয়া যায়নি। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ