ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার জিন্নাগড় ইউনিয়নে একটি দেশি পাতিহাঁস কালো ২ টি ডিম পেড়েছে। এমন খবর ছরিয়ে পড়লে ওই হাঁস ও ডিম দেখতে ভিড় জমাচ্ছেন উৎসুক জনতা। কালো ডিম ও হাঁস নিয়ে পুরো এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা যায়, ওই ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের দাসকান্দি গ্রামের মতিনের স্ত্রী তাসলিমা বেগমের পালিত একটি হাঁস দুই দিন ধরে কালো রংয়ের ডিম পাড়ছে। তবে কি কারণে এমনটি হচ্ছে তা নিশ্চিত করে বলতে পারছে না প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর।
শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এই এলাকার দাসকান্দি গ্রামে গিয়ে জানা যায়, ৮ মাস আগে স্থানীয় ফেরিওয়ালার থেকে চরফ্যাশন উপজেলার জিন্নাগড় ইউনিয়নের বাসিন্দা প্রবাস ফেরত আবদুল মতিনের স্ত্রী তাসলিমা বেগম ১৭ টি হাসের বাচ্চা ক্রয় করেন। এরপর ৬টি বাচ্চা মারা গেলে অবশিষ্ট ১১ টি হাঁস লালন পালন করেন তিনি।
বুধবার সকালে তার হাঁসের খামারে গিয়ে দেখেন একটি কালো রংয়ের ডিম পেড়েছে হাঁসটি। একইভাবে বৃহস্পতিবার আরেকটি কালো ডিম দেয় হাঁসটি। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা তার বাড়িতে ভিড় জমান। ছুটে আসেন প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারাও।
হাঁসটির মালিক আবদুল মতিন বলেন, এ হাঁসটির বসয় ৮ মাস, হঠাৎ বুধবার সকালে খামারে গিয়ে দেখি একটি কালো রংয়ের ডিম পেড়েছে। ডিমটা আমার কাছে অস্বাভাবিক মনে হলে আমি ডিমটিকে ধুয়ে পরিস্কার করলেও কালো রয়ে যায়। প্রথমে আমি ভয় পেয়ে গেছি। তার পরের দিন হাঁশটি আরও একটি কালো ডিম দেয়। এতে আমাদের ভেতরে কৌতুহল জাগে। খবর পেয়ে উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসের কর্মকর্তারা আসে। ধারাবাহিক ভাবে ডিম পাড়লে তাদেরকে জানানোর জন্য বলেন প্রাণী সম্পদ অফিসের কর্মকর্তারা।
তিনি আরও জানান, আজ (শুক্রবার) এ হাঁসটি ডিম পাড়েনি। একটি হাঁস সাদা ডিম পাড়ে এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু কালো ডিম পাড়ে এইটা প্রথম দেখলাম। এই কারণে আমরা একটু ভয়ে আছি।
এ ব্যাপারে চরফ্যাশন উপজেলা প্রাণি সম্প্রসারন কর্মকর্তা ডাঃ মো. আব্দুল আহাদ জানান, একটি হাঁসের কালো রংয়ের ডিম পাড়ার এমন ঘটনা শুনে সাথে সাথে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সাতদিন যদি এই ভাবে ডিম পাড়ে তাহলে ডিম নিয়ে গবেষণাগারে পাঠাতে হবে। হাঁস মালিককে আশ্বাস দিয়েছি ভয়ের কোন কারণ নাই।
তিনি আরও জানান, খাদ্য গ্রহণের সাথে হাঁস যদি রং খেয়ে ফেলে তাহলেও এমনটি হতে পারে। তবে যাই হোক না কেন পরীক্ষা ছাড়া আপাতত কিছুই বলা যাচ্ছে না।
নয়াশতাব্দী/এমএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ