একের পর এক নৃশংস খুনের ঘটনা ঘটেই চলেছে কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে। আলোচিত রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যার পর কিছুদিন সন্ত্রাসীরা গা ঢাকা দিয়েছিল। কিন্তু এখন আবার তারা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। হঠাৎ করেই রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে বেড়ে গেছে মাদক কারবার, চাঁদাবাজি, ছিনতাই। প্রায়ই প্রাকাশ্যে ঘটছে মারামারি, এমনকি খুনোখুনিও। পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ যে, গত দুদিনে রোহিঙ্গাদদের আশ্রিত শিবিরগুলোতে ৩ জনকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করেছে দুবৃর্ত্তরা। এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন কয়েকজন। তিন ঘটনায় পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়নি।
গেল বুধবার ভোর রাতে কুতুপালং ক্যাম্পে মোহাম্মদ জাফর নামের স্বেচ্ছায় পাহারারত এক স্বেচ্ছাসেবককে গুলি ও কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় রক্তের দাগ শুকাতে না শুকাতেই মো. এরশাদ নামে এক যুবককে কুপিয়ে খুন করেছে দুর্বৃত্তরা। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) ভোরে উপজেলার কুতুপালং ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে। নিহত এরশাদ কুতুপালং এক্সটেনশন ক্যাম্প-৪ এইচ ব্লকের বাসিন্দা।
১৪-এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আনোয়ার জানান, আজ ভোরে রোহিঙ্গা দুর্বৃত্তরা এক যুবককে কুপিয়ে খুন করেছে। এ হত্যাকাণ্ডের কারণ খোঁজা হচ্ছে। জড়িতদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
এ বিষয়ে উখিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে দুই দিনে তিনজনকে কুপিয়ে খুন করেছে কিছু রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
নয়াশতাব্দী/জেডআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ