ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পরীক্ষা কেন্দ্রে ফোন ভাঙচুর, দায়িত্ব হারালেন শিক্ষা কর্মকর্তা

প্রকাশনার সময়: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৯:৩৯

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে চলতি এসএসসি পরীক্ষায় পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কর্তৃক পরীক্ষার্থী ও কক্ষ পরিদর্শকের মোবাইল ফোন ভাঙচুর করার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ জেলা-উপজেলায় আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে। এ ঘটনায় কেন্দ্রের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ওই শিক্ষা কর্মকর্তাকে।

মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে সংশ্লিষ্ট পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করে ঘটনাটি দ্রুত নিস্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।

পীরগঞ্জ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের সচিব ও প্রধান শিক্ষক মফিজুল হক জানান, পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে তার কেন্দ্রে দুই কক্ষ পরিদর্শক সহ পরীক্ষার্থীদের ৪টি অ্যান্ড্রয়েড ও ১৪টি বাটন মোবাইল ফোন জব্দ করে ভেঙে ফেলার ঘটনায় কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আরিফুল্লাহকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার তার কেন্দ্রে ঐ কর্মকর্তার বদলে ট্যাগ অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নাসিমুল বারী।

এদিকে বিষয়টি জানতে মঙ্গলবার সকালে কেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আলাউদ্দীন আল আজাদ। তিনি ভাঙ্গা মোবাইল ফোন গুলি দেখেন ও ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত শুনেন এবং ঘটনাটি দ্রুত নিস্পত্তি করার নির্দেশ দেন।

কেন্দ্র সচিব আরও জানান, পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন ভাঙার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছেন কেন্দ্রের বিভিন্ন কক্ষে দায়িত্বপ্রাপ্ত শিক্ষকরা। তারা মঙ্গলবার সকালে পরীক্ষা শুরুর আগে কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করতে অনিহা প্রকাশ করেন। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের আশ্বাসে দায়িত্ব পালন করেন শিক্ষকরা।

এদিকে শিক্ষা কর্মকর্তা কর্তৃক মোবাইল ফোন ভাঙার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক সহ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও সাধারণ মানুষের মাঝে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠেছে। কেউ বলছেন, শিক্ষা কর্মকর্তা ঠিক কাজ করেছেন। আবার কেউব বলছেন- ঠিক করেননি। তবে শাস্তির দাবী করেছেন ভুক্তভোরীরা।

এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আরিফুল্লাহ বলেন, পরীক্ষার্থীদের কাছে ফোন থাকলে দিয়ে দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু কেউ দেয়নি। পরে সার্চ করে একেক জনের কাছে একাধিক ফোন সেট পাওয়া যায়। এতে মাথা গরম হয়ে যায় তার। এ জন্য ফোনগুলো ধ্বংস করা হয়।

জেলা শিক্ষা অফিসার আলাউদ্দীন আল আজাদ জানান, ঘটনা শুনে তিনি কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন। মোবাইল ফোন ভাঙার কাজটি ঠিক হয়নি। মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ভুল করেছেন। এ বিষয়ে লিখিত কোন অভিযোগ পাননি। পেলে যথাযথ ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, সোমবার দুপুরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আরিফুল্লাহ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে দুই কক্ষ পরিদর্শক সহ পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২০ থেকে ২৫টি মোবাইল ফোন সেট আটক করে কেন্দ্র সচিবের অফিস কক্ষে নিয়ে এসে ভেঙে ফেলেন।

নয়াশতাব্দী/এমএস

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ