সময়ের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে চিঠি। হারিয়ে যাচ্ছে হলুদ-নীল খামে প্রিয়জনকে লেখার সেই আবেগ। ফুরিয়ে গেছে ডাকঘরের মাধ্যমে চিঠি পাঠানো কিংবা টেলিগ্রাম সেবার প্রয়োজনীয়তাও।
একসময় ডাক বিভাগ ছিল যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম। চিঠি, পণ্য পার্সেল, টাকা পরিবহনে একমাত্র ভরসা ছিল ডাক বিভাগ। প্রতিদিন খামে পুড়ে চিঠি রাখতেন সাধারণ মানুষ। প্রতিদিন সেগুলো খুলে ডাকপিয়নরা বিভিন্ন ঠিকানায় পাঠাতেন।
কিন্তু সময়ের সাথে সব বদলে গেছে। প্রযুক্তির উন্নতির কারণে হাতে লেখা চিঠির কদর কমে গেছে। তাই এখন আর ডাক বক্সগুলো ব্যবহার হয়না। দু’একটি ছাড়া বেশির ভাগই ভাঙ্গা ও মরিচা পড়ে নষ্ট হওয়ার পথে। একসময় পোস্ট বক্সে প্রচুর চিঠি পরলেও বর্তমানে বক্সে একটি চিঠিও পড়ে না।
এক সময় মানুষের সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ছিলো ডাক যোগাযোগ। দিনে দিনে কমেছে ডাক বা চিঠিপত্র আদান প্রদান। ডাক পিয়নও এখন তেমন চোখে পড়ে না।
বাংলাদেশ এখন অনেক এগিয়ে। অনেক উন্নত পরিসরে চলছে মানুষের সামাজিক যোগাযোগ ব্যাবস্থা। এখন মানুষ ডাকযোগে যোগযোগের মাধ্যম পরিহার করে মোবাইল, ইন্টারনেট, ফেসবুকিং, ই-মেইল, কিংবা কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে আর্থিক লেনদেনসহ নিত্য প্রয়োজনীয় যোগাযোগ করে থাকেন। আর এসবের ব্যাবহারও চলছে জোরালো গতিতে। তাই মানুষজন এখন ভুলে গেছেন সেই আমলের ডাকযোগে চিঠিপত্র আদান প্রদানের কথা।
তজুমদ্দিন উপজেলার প্রধান পোষ্ট অফিসের পোষ্ট মাষ্টার সুজিত চন্দ্র দে জানান, পোষ্ট কার্ড, খাম আগের মতো আর সাপ্লাই নেই। অফিস, আদালতের চিঠিপত্র ছাড়া ব্যক্তিগত চিঠিপত্রের সংখ্যা অনেক কম।কর্মচারির সল্পতাও আছে। রেজিঃ, জিপি পার্শেল, ইসু এবং বিলি, সঞ্চয়পত্রের কাজ অনলাইনে হচ্ছে। এফ ডি, এস বি, সঞ্চয়পত্র সবগুলো পারিবারিক সঞ্চয়পত্র জিইপি পোষ্ট অফিসে চালু আছে। যার প্রেক্ষিতে পোষ্ট অফিসের গতি কিছুটা অব্যহত থাকলেও আগের মত নেই। পোষ্ট অফিসের অবকাঠামো উন্নয়নের দিকে নজর দেওয়া উচিৎ। তজুমদ্দিনে উপজেলায় পোষ্ট অফিসের সংখ্যা মোট ১০ টি।
নয়াশতাব্দী/এমএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ