কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে রোপা-আমন মৌসুমে মাঠে মাঠে পার্চিং দিয়ে ধান ক্ষেতের পোকা দমন জনপ্রিয়তা বাড়ছে। আমন ধান খেতে পার্চিং পদ্ধতি প্রয়োগ করে ক্ষতিকারক পোকা দমন করতে পারছে স্থানীয় কৃষকরা। এতে পোকা দমনে কীটনাশকের ব্যবহার বহুলাংশে কমে যাচ্ছে। ফলে ধান উৎপাদন খরচ অনেকাংশেই কমে যাবে বলে জানান স্থানীয় চাষিরা। উপজেলার কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদেরকে মাঠে মাঠে পার্চিং পদ্ধতি শেখানোর ব্যবস্থা করেছেন।
সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভাসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলের বিভিন্ন মাঠে ঘুরে দেখা যায়, কৃষক ধান ক্ষেতে পোকা দমনে গাছের ডাল, বাঁশের কঞ্চি পুতে রেখেছে এবং ওইসব ডালে ও কঞ্চিতে পাখিরা বসে বিভিন্ন পোকামাকড় ধরে খাচ্ছে।
উপজেলার জিনারী ইউনিয়নের ব্লক সুপারভাইজার কৃষি উপ-সহকারী জাহিদ হাসান রণির মতে, পার্চিং একটি কার্যকর পোকা দমন ব্যবস্থা। এতে কৃষক যেমন স্বল্প পরিশ্রমে লাভবান হয়। এই পদ্ধতিটি এলাকার প্রতিটি কৃষকরা ব্যাপকভাবে গ্রহণ করছে এবং ভালো উপকার পাচ্ছেন। এতে করে এলাকার কৃষকগণ উপকারি ও অপকারি পোকা সহজে চিনতে পারছে। এলাকার কৃষকেরা যে কোনো পোকা দেখলেই কীটনাশক দিতে হবে এই ধারণা যে ভুল তা সহজেই বুঝতে পারছে।
উপজেলার চরহাজিপুর গ্রামের চাষি কাশেম, চরকাটি হারী গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম জানান, ধানক্ষেতে বাঁশের কঞ্চিতে পাখি বসে পোকামাকড় ধরে খায়। এতে ক্ষেতে পোকার আক্রমণ অনেকাংশে কমে গেছে।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, পাখি পার্চিং এ বসে একটি ক্ষতিকারক পোকা খেলে ২৫০ থেকে ১৫০টি পোকা দমন হয়। কারণ একটি ক্ষতিকারক পোকা ২৫০ থেকে ১৫০টি ডিম পাড়ে। তবে পার্চিং জমির আইল থেকে ধান ক্ষেতের মাঝামাঝি অবস্থায় দেয়াই ভালো ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. ইমরুল কায়েস জানান, জমিতে পার্চিং করলে পাখি সহজেই ফসলের ক্ষতিকারক পোকা খেয়ে ধ্বংস করে। পোকা বংশ বিস্তার করতে পারে না। এতে কৃষক অনেক উপকৃত হয়। এতে বহুলাংশে কীটনাশকের ব্যবহার কমে যাবে বলে জানান তিনি।
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ