পটুয়াখালীর কাঁচাবাজারে অস্থিতিশীল অবস্থা। পণ্যের দাম আকাশচুম্বী। আগে থেকেই পণ্যের দাম ছিল চড়া। এ অবস্থায় গত জুলাই মাসের শেষের দিকে অতিবৃষ্টির কারণে বীজতলা এবং সবজি ক্ষেতের ক্ষতি হওয়ায় বর্তমানে অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে সবজির দাম।
সোহাগ হোসেন নামের পটুয়াখালীর নিউমার্কেটের এক সবজি বিক্রেতা বলেন, পটুয়াখালীতে বৃষ্টির ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় পাইকার বাজারে শাঁক-সবজি কম আসছে। সংকটের কারণে সবজির দাম বাড়তি রাখা হচ্ছে। ফলে এর প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও।
এদিকে ক্রেতা মিজানুর রহমান বলেছেন, ‘অতিবৃষ্টি কোন কারণ নয়। এই মৌসুমে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে সবজির দাম বাড়িয়ে দেন। করোনার কারণে আমাদের মত সাধারণ মানুষের ইনকাম নেই বললেই চলে। সবজি কিনতে গিয়ে দাম শুনে চমকে গিয়েছি। বয়লার মুরগি কিনেছি ১২০ টাকা দিয়ে অথচ বরবটি কিনতে হয়েছে ৮০ টাকায়। আগের সপ্তাহে ৪০ টাকা করে কিনে খেয়েছি। এ সপ্তাহে সকল সবজির দামও চড়া। দুই প্রকার সবজি কিনতে টাকা শেষ। ১০০ টাকার কাঁচাবাজারে একদিন চলে না।’
এই সপ্তাহে জেলার বিভিন্ন কাচাঁবাজারে দেখা গেছে, লকডাউনের প্রভাবে সবজি বাজারে আগের মত ক্রেতা না থাকলেও সবজির দাম ছিল চড়া। এছাড়াও বন্ধ দেখা গেছে কাঁচাবাজারের বেশিরভাগ দোকান। জেলার পুরাতন বাজার কাচাঁবাজারে প্রতি কেজি ঝিঙা, চিচিঙ্গা, ধুন্দল বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়, কচুর লতি ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, কাকরোল আকার ভেদে ৪০ থেকে ৫৫ টাকায়, বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে জেলার পুরান বাজার, বাঁধঘাট এলাকার কাচঁবাজারে একই চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। বাজারে লাউ ৬০ থেকে ৭০ টাকা, চাল কুমড়া ৬০ টাকা, কাঁচকলা হালি ৪০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৪০ টাকা, লাল শাঁক বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়, ডাটা শাঁক ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
জেলা কৃষি উন্নয়ন কর্মকর্তা সোহেল রানা নয়া শতাব্দীকে জানান, অতিবৃষ্টিতে জেলায় প্রায় ১২০০ হেক্টর সবজি ক্ষেত পানির নিচে নিমজ্জিত হয়েছিল। যার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক কৃষক। তবে ক্ষতি পুষিয়ে সবজির উৎপাদন আবার বৃদ্ধি পাচ্ছে এখন। কৃষি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলেও স্লুইসগেট দিয়ে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলার শাক-সবজির দাম বৃদ্ধি একটা রীতিতে পরিণত হয়েছে। সবজির দাম বৃদ্ধির কোন কারণ নেই বলে জানিয়েছেন তিনি।
পটুয়াখালীর কাঁচা বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানান, পটুয়াখালীর অনেক এলাকায় অতিবৃষ্টি হওয়ায় সবজি উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই সবজি অন্যান্য উপজেলা থেকে কম আসছে। এজন্য আমাদের বেশি দামে সবজি কিনতে হচ্ছে। তাই বিক্রিও করতে হচ্ছে বেশি দামে।
নয়া শতাব্দী/এম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ