ঝিনাইদহের শৈলকুপায় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা কেন্দ্রের একটি কক্ষে ১৫ মিনিট পর প্রশ্নপত্র বিতরণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার কারণে কেন্দ্রের কক্ষ পরিদর্শক আমিরুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যহতি দিয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সভাপতি বনি আমিন।
প্রথম দিনে শুরু হওয়া বাংলা ১ম পত্র পরীক্ষায় শৈলকুপা সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ২০৪ নম্বর কক্ষে পরীক্ষার্থীদের মাঝে সৃজনশীল প্রশ্নপত্র ১৫ মিনিট পর দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। পরীক্ষা শেষে হল থেকে শিক্ষার্থীরা বেরিয়ে এসে অভিভাবকদের জানালে অভিভাবকরা তাৎক্ষনিক নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানায়। পরে তিনি এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেন ও পরীক্ষার্থীদের সান্তনা দেন।
মুসলিমা হাসান, আইরিন আক্তার, মনিরা খাতুন, মেঘা সাহা সহ অন্যান্য পরীক্ষার্থীরা বাস্পরুদ্ধ কণ্ঠে জানায়, পরীক্ষা শুরু হওয়ার প্রথম ২০ মিনিট এমসিকিউ এর জন্য বরাদ্দ ছিল। এরপর সৃজনশীল পরীক্ষা শুরু হওয়ার প্রায় ২০ মিনিট পর প্রশ্নপত্র বিতরণ করেন কক্ষ পরিদর্শক আমিরুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম। এরপর পরীক্ষা শেষে ৫ মিনিট পরেই পরিক্ষার্থীদের কাছ থেকে উত্তরপত্র কেড়ে নেওয়া হয়। তারা অনুরোধ করলেও তাদের অনুরোধে কর্ণপাত করা হয়নি। এদের মধ্যে অনেকেই পিএসসি ও জেএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন এ প্লাস পাওয়া শিক্ষার্থী রয়েছে।
শৈলকুপা গার্লস স্কুলের প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমান জানান, ঐ কক্ষে তার বিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছিল। এই ১০ মিনিট সময় কম পাওয়াতে অধিকাংশ শিক্ষার্থী সব প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেনি।
এ ব্যপারে কেন্দ্র সচিব ও বিপ্রবগদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান সাচ্চু বলেন, ৫ থেকে ৭ মিনিট পর পরে প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হয়েছে বলে কেন্দ্র পরিদর্শকরা জানিয়েছে। তবে পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও নির্বাহী কর্মকর্তা বনি আমিনের প্রশ্নের জবাবে পরীক্ষার্থীরা জানায় যে, তাদেরকে ১৮ থেকে ২০ মিনিট পর প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পরীক্ষা পরিচালনা কমিটির সভাপতি বনি আমিন জানান, খবর পেয়ে আমি দ্রুত পরীক্ষা কেন্দ্রে যাই এবং ঘটনার সত্যতা পেয়ে দায়িত্বরত কক্ষ পরিদর্শক দুই শিক্ষক আমিরুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলামকে পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্ব থেকে অব্যহতি প্রদান করি। সেইসাথে পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বরত সকল শিক্ষককে সতর্ক করি।
নয়াশতাব্দী/এমএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ