চট্টগ্রামের বন্দর টিলা থেকে বান্দরবানের আজিজনগর খাদ্যগুদামের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ’র (টিসিবি) ২ হাজার ২৮৬ লিটার সয়াবিন তেলের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। এসব তেল কি হয়েছে সে বিষয়ে কিছু বলছেন না পরিবহনের দায়িত্বে থাকা টিসিবির পরিবহন ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্টরা।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে লামার আজিজনগর খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোর্শেদুল করিম জানান, ১১ সেপ্টেম্বর (রবিবার) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের বন্দর টিলায় অবস্থিত টিসিবির গুদাম থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার জন্য টিসিবি’র অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে ২ হাজার ২৮৬ লিটার সয়াবিন তেল বুঝে নেয় নানা-নাতি পরিবহন সংস্থা নামক টিসিবির নিয়োগকৃত একটি পরিবহন সংস্থা। এসব তেল আজিজনগর খাদ্যগুদামে বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাত আটটা পর্যন্ত এসব তেল বুঝিয়ে দিতে পারেনি।
তিনি বলেন, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার টিসিবি’র কার্ডধারী জনসাধারণের জন্য অন্যসব পণ্যের সাথে এসব তেল পাঠানো হয়েছিল। তবে সেখান থেকে ২২৮৬ লিটার সয়াবিন তেল পাওয়া যাচ্ছেনা।
গাড়ি চালক মো. মূসা জানান, রবিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম টিসিবির গোডাউন হতে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার জন্য ৮ হাজার লিটার সয়াবিন, ৪ হাজার কেজি চিনি ও ৮ হাজার কেজি ডাল নিয়ে চট্টমেট্রো-ট ১১-৪২২১ ট্রাকটি লামার আজিজনগর খাদ্য গুদামের সামনে পৌঁছে গভীর রাতে। পরবর্তীতে কে বা কারা ট্রাক থেকে ২ হাজার ২৮৬ লিটার তেল নিয়ে গেছে তা ট্রাকের চালক ও তার সহকারী কেউই টের পাননি।
নানা-নাতি পরিবহন সংস্থার মালিক মো. মাহফুজ উদ্দিন চৌধুরী রিয়াজ জানান, চালকের মাধ্যমে তিনি টিসিবি’র মালামাল পরিবহন করছিলেন তিনি। মালামাল কিভাবে উধাও হয়েছে এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। এদিকে টিসিবির নিয়োগকৃত ঠিকাদারের ট্রাক থেকে তেল উধাও হয়ে যাওয়ার খবর শুনেই লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোস্তফা জাবেদ কায়সার ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সালমা ফেরদৌস আজিজনগর খাদ্য গুদাম পরিদর্শন করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মোস্তফা জাবেদ কায়সার বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে, আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নয়াশতাব্দী/এমএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ