বর্তমান সময় ইলিশের ভরা মৌসুম। একদিকে সাগর-নদীতে দেখা মিলছেনা ইলিশের। অন্যদিকে এবার কয়েকবার প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে ব্যাহত হচ্ছে মাছ শিকার। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হওয়ায় সাগর উত্তাল রয়েছে। তাই কাঙ্খিত ইলিশ না পেয়ে হতাশ হয়ে ট্রলার নিয়ে তীরে ফিরেছেন ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার কয়েক হাজার জেলে। এতে জেলেরা পড়েছেন বিপাকে।
সাগরে বৈরি আবহাওয়ার কারণে রোববার মধ্যেরাত থেকেই ট্রলার নিয়ে তীরে ফিরে আসতে শুরু করেছেন জেলেরা। বড় ধরনের লোকসানের সম্ভাবনা দেখছেন ট্রলার মালিক ও আড়ৎদাররা। চাহিদা অনুযায়ী আমদানি না থাকায় জমেও উঠছে না মাছের আড়ৎ।
ঘাটে ফেরা মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি মো. ফরিদ জানান, বরফ, তেল ও বাজার নিয়ে প্রায় ৪ লক্ষ টাকার রসদ সামগ্রী নিয়ে সমুদ্রে গিয়েছেন। প্রথমে নিম্নচাপের খবর পেয়েও লোকসান বিবেচনায় সমুদ্রে থাকতে চেয়েছিলেন। নিম্ন চাপের কারণে সাগর উত্তাল। তাই জীবনের মায়া করে ট্রলার নিয়ে সাগর থেকে তীরে ফিরেছেন। যতদিন আবহাওয়া অনুকূলে না আসবে, ততদিন উপকূলেই থাকতে হবে।
ট্রলার মালিক সালাউদ্দিন মেম্বার জানান, তার দুইটি সমুদ্রগামী ট্রলার রয়েছে। দুইটি ট্রলারে প্রায় ৮ লক্ষ টাকার সামগ্রী নিয়ে সাগরে ট্রলার পাঠিয়েছেন। এদিকে ডিজেল ও মুদি মালের দাম বেড়েছে। সাগরে মাছ শিকারে যাওয়া প্রত্যেক জেলের পিছনে ব্যয়বহুল খরচ। এবার সাগরে মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষে ট্রলার নিয়ে সাগরে যাওয়ার পর থেকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। বিভিন্ন আড়ৎদারের কাছ থেকে ২০ লক্ষ টাকার দাদন নিয়েছেন। সাগরে মাছ না পাওয়া লোকসান গুনতে হচ্ছে।
ফিশিং বোট মালিক সমিতির সভাপতি মো. রফিক জানান, সম্প্রতি নিম্নচাপে লোকসান নিয়ে ফিরে আসা ট্রলারগুলো নিয়ে ধার-দেনা করে আবারও সমুদ্রে গিয়েছিল জেলেরা। বৈরি আবহাওয়ার কারণে শত শত ট্রলার এসে নিরাপদ আশ্রয় অবস্থান করছে। তবে এবারের নিম্নচাপ যেন মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে মৎস্যজীবীদের জন্য। বর্তমানে প্রতিটি ট্রলার মালিক দেনাগ্রস্ত।
চরফ্যাশন উপজেলা সিনিয়ির মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার জানান, এবার পাকৃতিক দুর্যোগের ফলে লোকসান গুনছে ট্রলার মালিক ও জেলেরা। জেলেদের সর্বাধিক সহযোগিতা ও সার্বিক বিষয়ে খোঁজ রাখা হচ্ছে।
নয়া শতাব্দী/এফআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ