সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যহত আছে দক্ষিণ জনপদের জেলা ঝালকাঠিতে। সেই সাথে থেমে থেমে বৃষ্টিতে দুর্ভোগ বেড়েছে। এদিকে রাজাপুরের বিষখালি নদীতে হঠাৎ ভয়াবহ ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এতে ছয়টি দোকানঘর নদীর ভাঙনে বিলীন হয়েছে। এদের মধ্যে একটি মুদি মনোহারি, একটি ঋষি ও বাকি গুলো চায়ের দোকান ছিল।
সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের বিষখালী নদী সংলগ্ন বাদুরতলা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
রোববার ভোর থেকেই জেলার সুগন্ধা, বিষখালী ও বাসন্ডা নদীর অস্বাভাবিক জোয়ারে নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বৃষ্টির কারণে জেলাজুড়ে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে। জেলার চার উপজেলার ২০টিরও বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
এ ঘটনায় ওই এলাকায় ভাঙন আতঙ্ক বিরাজ করছে। ঘটনার পর বিকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিকরা হলেন, নাসির হাওলাদার, জুয়েল শরীফ, শাহজাহান শরীফ, জামাল হাওলাদার, আবু খলিফা ও বাবুল ঋষি।
প্রত্যক্ষদর্শী মো. রুহুল আমিন, তরিকুল ইসলাম সুমন ও আব্দুল গফুর জানায়, দুপুরে হঠাৎ বিষখালী নদীতে ভাঙ্গন দেখা দেয়। এতে কয়েকটি দোকান নিয়ে মাটি দেবে পানিতে ভেসে যায় মালপত্রসহ দোকানগুলো। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় নদী থেকে দোকান মালিকরা দোকানঘরসহ কিছু মালামাল উদ্ধার করে। তবে, অনেক মালপত্রই ভেসে গিয়েছে।
মঠবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান শাহ জালাল হাওলাদার জানান, দীর্ঘদিন ধরেই বাদুরতলা বাজারের দোকানগুলো ভেঙে বিলীন হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হঠাৎ দুপুরে ৬টি দোকান বিলীন হয়ে গেছে। এখনও ওই বাজারের অনেক দোকান ঝুঁকিতে রয়েছে। কয়েক দফা জিও ব্যাগ ফেলেও ভাঙনরোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। দ্রুত স্থায়ী বাঁধ নির্মান করা প্রয়োজন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুসরাত জাহান খান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থদের সাথে কথা বলেছি। তাদের জন্য পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নয়াশতাব্দী/এমএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ