অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের কাউন্সিলর নির্ধারণ করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এমপি জাফর আলমের বিরুদ্ধে। বিভিন্ন ইউনিয়ন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সংগঠনের খালি প্যাডে স্বাক্ষর করিয়ে নিজের ইচ্ছেমত কাউন্সিলরদের বসিয়ে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। তারা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কাউন্সিলরদের তালিকা তৈরি করে সম্মেলনের তারিখ পরিবর্তনের আহবান জানিয়েছেন।
শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকার সেগুনবাগিচাস্থ বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী। এসময় উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফজলুল করিম সাঈদী, চকরিয়া পৌরসভা মেয়র ও সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলমগীর চৌধুরী, সহ-সভাপতি সরওয়ার আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক মিজবাউল হক, দপ্তর সম্পাদক আব্দুল জলিল, মাতামুহুরী আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহসিন বাবুল, আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীর হোসেন, জসিম উদ্দিন চেয়ারম্যান, আবছার উদ্দিন মাহমুদ, মোজাফফর হোসেন পল্টু প্রমুখ।
গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী বলেন, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য জাফর আলম বিভিন্ন ইউনিয়ন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সংগঠনের খালি প্যাডে স্বাক্ষর করিয়ে নিজের ইচ্ছেমত কাউন্সিলরদের নাম বসিয়ে দিচ্ছেন। যাতে করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে নিজের ইচ্ছেমত লোকদের দিয়ে সাজানো প্যানেল তৈরি করতে পারেন। তার এই নীল নকশা বাস্তবায়ন করতে তড়িঘড়ি করে ১০ সেপ্টেম্বর চকরিয়া কলেজে সম্মেলনের ডাক দেন। অথচ ওইদিন কলেজে অনার্স রয়েছে। তিনি আরো বলেন, এমপির এই নীল নকশা বাস্তবায়ন হলে দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ হয়ে একটি মৌলবাদী এলাকায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করেছেন।
তিনি আরো বলেন, অনিয়মের বিরুদ্ধে কথা বলায় গত ৪ তারিখে পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীর হোসাইনকে বেধড়ক মারধর করেন এমপি জাফর আলম।
এব্যাপারে জানতে চাইলে সব অভিযোগ অস্বীকার করে এমপি জাফর আলম বলেন, অস্ত্রের মুখে জিম্মি করা হয়েছে- এমন একজনের নাম প্রকাশ করতে পারবে না। কারণ এমন কোন ঘটনাই ঘটেনি। তিনি বলেন, সম্মেলনের তারিখ কেন্দ্র থেকে নির্ধারণ করে দেয়া হয়। আর পৌরসভা থেকে কাউন্সিলরদের নামের তালিকা দেয়া হয় জেলা আওয়ামী লীগের কাছে। সেখান থেকে কাউন্সিলর নির্ধারণ করা হয়। এখানে আমার কোন হাত নেই।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ