বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন (বাজুস) পাবনা জেলা শাখার সদস্য সচিবসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন ও মানববন্ধন করেছেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। পরে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দোকান বন্ধ রেখে কর্মবিরতি পালন করেন বাজুস-এর সদস্য স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। পরে শহরের সোনাপট্টিতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বক্তব্য দেন, বাজুস পাবনা জেলা শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব কুতুব উদ্দিন সুইট, সদস্য আমজাদ হোসেন, নজরুল ইসলাম কবির, হেলাল উদ্দিন, সত্য নারায়ণ শেঠ, সোহেল রানা, সুমন বসাক, জয়দেব কর্মকার, শরিফুল ইসলাম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কামরুল আনাম রিপন ২০১৩ সালের পরে আর কোনো নির্বাচন দেননি। তিনি ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখতে ও নির্বাচন বানচাল করতে মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করছেন। এছাড়াও তিনি সদস্যদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় চাঁদাবাজি করেন। তার নিজের কোনো স্বর্ণের দোকান বা ব্যবসা নেই। অথচ তিনি সভাপতির পদ ধরে বসে আছেন। জুয়েলার্স এসোসিয়েশন (বাজুস) পাবনা জেলা শাখার সদস্য সচিবসহ চারজনের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করছেন। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। পরে জেলা প্রশাসকের কাছে একটি স্মারকলিপি দেন স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা।

এ ব্যাপারে স্বর্ণ ব্যবসায়ী সমিতি পাবনা জেলা শাখার সভাপতি কামরুল আনাম রিপন বলেন, ২০১৯ সালের জুন মাসে আদালতে একটি মামলা করা হয়। আদালত নির্বাচনের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেন। এ জন্য নির্বাচন করতে পারিনি। গত জুন মাসে জুয়েলার্স এসোসিয়েশন নামে চিঠি নিয়ে এসে আমার কাছে অফিসের চাবি চায় তারা। আমি চাবি না দেওয়ায় তারা হুমকি দেয়। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করেছেন সঠিক নয়। তবে তিনি স্বীকার করেন, তিনি স্বর্ণ ব্যবসার লাইসেন্সধারী হলেও তার দোকান বা শোরুম নাই।