ঢাকা, রবিবার, ১০ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ কার্তিক ১৪৩১, ৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

মাছ চাষে কোটিপতি (ভিডিও)

প্রকাশনার সময়: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৫:১৯

মাত্র ৬০ হাজার টাকা দিয়ে মৎস চাষ শুরু করে কোটিপতি হয়েছেন ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার ১০ নং মঠবাড়ি ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের জনপ্রিয় সমাজ সেবক ও তরুণ উদ্যোক্তা মো.ওসমান গণি মিয়া। বছরে তিনি ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার মাছ বিক্রি করেন। প্রতি বছর মৎস ও ডেইরি ফার্মে ৬০-৭০ লাখ টাকা ইনভেস্ট করে ৪০-৫০ লাখ টাকা মুনাফা নিয়ে আসেন।

তরুণ এই উদ্যোক্তা ২০১১ সালে মৎস চাষ শুরু করলেও ২০১৬ সাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে ক্যাটফিশ চাষ শুরু করেন। ৪২ বিঘা পুকুরে তিনি পাবদা, টেংরা, গুলশা, বাইম, বড় বাংলা, পাঙ্গাশসহ বিভিন্ন ধরনের মাছ চাষ করেন। বর্তমানে তার খামারে ৮ লাখ পাবদা, ২.৫ লাখ টেংরা, ১.৫ লাখ পাঙ্গাশ, ৫০ হাজার গুলশা, ১৫ হাজার বাইম, ২০ হাজার ছোট বাংলা এবং ৭ হাজার বড় বাংলা আছে।

মৎস চাষের পাশাপাশি তার ডেইরি ফার্ম খামারও আছে। তার ডেইরি ফার্মে ৬টি গাভী, ২টি বকনা ও ২টি ষাড় আছে। জনসেবার পাশাপাশি তিনি এবং তার ২ ভাই ও ২ কর্মচারী খামার দেখাশোনা করেন। কর্মচারীদের মাসিক ১০ হাজার টাকা বেতন ভাতা প্রদান করেন। এছাড়াও নিজে উদ্যোক্তা হওয়ার পাশাপাশি ৪০ জন শিক্ষিত যুবককেও তিনি উদ্যোক্তা হতে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। যেকোনো সমস্যায় নবীন উদ্যোক্তাদের তিনি পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

ওসমান গণির মা মোছাঃ মুর্শিদা খাতুন বলেন, আমাদের ১৫ সদস্যের যৌথ পরিবার। ২০১২ সালে ওদের বাবা মারা যাওয়ার পরে ওসমান গণিই পরিবারের হাল ধরেছে। ওর বাবার দেয়া ৬০ হাজার টাকা থেকে মৎস চাষ শুরু করে আজ ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার ব্যবসা গড়ে উঠেছে। ওরা ৩ ভাই পরিশ্রম করে আজকের এই অবস্থা তৈরি করেছে। তাদের সফলতা দেখে আমি অত্যন্ত খুঁশি। আল্লাহর কাছে হাজারও শুকরিয়া। আল্লাহ যেন আমার ছেলেদেরকে আরও বড় হওয়ার তৌফিক দান করেন।

ওসমান গণি বলেন, আলহামদুলিল্লাহ, অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে আজকের এই অবস্থানে। জনগণের দোয়ায় অনেক ভালো আছি। পড়ালেখা শেষ করে অনেকে বেকার থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা শেষ করেও চাকরি না পেয়ে হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ে। তাদেরকে আমি বলতে চাই, শিক্ষিত বেকার না হয়ে শিক্ষিত উদ্যোক্তা হোন। নিজের পাশাপাশি অন্যদেরও জীবিকার ব্যবস্থা করুন। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে দেশের বোঝা না হয়ে উদ্যোক্তা হোন। আধুনিক পদ্ধতিতে মাছ চাষ করার জন্য শিক্ষিত উদ্যোক্তা হওয়া প্রয়োজন। পুকুরের pH শনাক্তকরণসহ নানাবিধ কাজে শিক্ষিতদের গুরুত্ব অপরিসীম। আমার মতো যারা তরুণ উদ্যোক্তা আছে তাদের উদ্দেশ্যে বলব, ব্যবসায় লাভ লস থাকবেই। নিজের সেরাটা দিয়ে কাজ করতে হবে, পরিশ্রম করতে হবে। তাহলে সফলতা আসবেই।

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ