পটুয়াখালীতে বিভিন্ন নদ-নদী ও জলাধার পরিদর্শন করেছেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন এর চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী। এসময় তিনি বলেন, সিএস ম্যাপ অনুযায়ী পটুয়াখালীর দখলকৃত নদী ও খালগুলোকে উন্মুক্ত করা হবে।
সোমবার (০৫সেপ্টেম্বর) সকালে পটুয়াখালীর লাউকাঠি নদীর দখল, দূষণ ও নাব্যতা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমরা বিভিন্নভাবে জলাধারের উপর যে অত্যাচার চালাই তা রোধে কাজ করছে নদী রক্ষা কমিশনসহ বেশ কিছু দেশি-বিদেশি সংগঠন।
ড. মনজুর বলেন, সিএস ম্যাপ অনুযায়ী পটুয়াখালীর দখলকৃত নদী ও খালগুলোকে উন্মুক্ত করা হবে। এ ব্যাপারে হাইকোর্টের রায় আছে। নদী, খাল, জলাভূমি এগুলো জীবন্ত স্বত্ত্বা। তাই এর প্রবাহিত হওয়া, দূষণমুক্ত ও দখলমুক্ত থাকা সহ বেশকিছু অধিকার রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, যখন আমরা দেখি আইনকে তোয়াক্কা না করে খাল ও নদী ভরাট করে এগুলোকে মেরে ফেলা হচ্ছে তখন আমরা সেখানে উপস্থিত হই। তেমনি পটুয়াখালীর লাউকাঠি নদী, বহালগাছিয়া নদী ও সুতাখালী খালের তথ্য সহ আমাদের কাছে অনেক তথ্য আছে, তদন্ত চলছে। আমরা সরেজমিন পরিদর্শন করছি। আমরা এগুলো দখল মুক্ত করবো।
এসময় পরিবেশবিদ এনামুল হক, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন এর উপ পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) ড. খ. ম. কবিরুল ইসলাম, পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি কাজী আলমগীর, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন চেয়ারম্যান এর একান্ত সচিব মুহাম্মদ. বিল্লাল হোসেন খান, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন এর সহকারি পরিচালক (জিও টেকনিক্যাল) মো. তৌহিদুল ইসলাম, সহকারি পরিচালক (গবেষণা ও পরিকল্পনা) আরশাফুল হক, সহকারি প্রধান (পরিবেশ ও প্রতিবেদক) সাকিব মাহমুদ, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান এর ব্যক্তিগত সহকারী মেহেদী হাসান সহ পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রবিবার রাতে সার্কিট হাউসের সভাকক্ষে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান।
নয়াশতাব্দী/এমএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ