সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত হলেন সাংবাদিক শাকির আহমেদ। তিনি দৈনিক নয়া শতাব্দী পত্রিকার মৌলভীবাজার প্রতিনিধির দায়িত্বে ছিলেন।
শনিবার (৭ আগস্ট) বেলা ২ টা ১৫ মিনিটে জেলার কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল এলাকার মাধবপুর মসজিদে জানাজা শেষে তাঁকে দাফন করা হয়। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন- সিলেটের চিফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আবুল কাশেম, প্রধানমন্ত্রীর প্রোটোকল অফিসার আবু জাফর, মৌলভীবাজার জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) গোলাম কাওসার দস্তগীর, কুলাউড়া পৌরসভার মেয়র শিপার উদ্দিন আহমদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফজলুর হক খান সাহেদসহ এলাকার জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও শাকিরের দীর্ঘদিনের সহকর্মী সাংবাদিকবৃন্দসহ এলাকার সর্বস্থরের মানুষ।
এসময় উপস্থিত সকলে শাকিরের আত্মার শাস্তি কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। এর আগে শুক্রবার (৬ আগস্ট) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মাত্র ৩২ বছর বয়সেই মৃত্যুবরণ করেন শাকির। তাঁর অকাল মৃত্যুতে কুলাউড়াজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
শাকির কুলাউড়া উপজেলার বরমচাল ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের মোল্লাবাড়ির মৃত আব্দুস শহিদের ছেলে। মৃত্যুকালে শাকির বছরের এক ছেলে, স্ত্রী, মাতা, ভাই-বোনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছে।
তিনি প্রেসক্লাব কুলাউড়ার নির্বাহী সদস্য ও কুলাউড়া সাংবাদিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন আমৃত্যু। প্রায় একদশক আগে কুলাউড়ায় সাংবাদিকতা শুরু করেন শাকির। বিভিন্ন সময়ে দায়িত্ব পালন করেছেন দৈনিক আমাদের অর্থনীতি, দৈনিক জাগরণ, দৈনিক দেশ, দৈনিক সিলেট সুরমার কুলাউড়া প্রতিনিধি ও সীমান্তের ডাকের স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেছেন। এছাড়াও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি সিলেটের আঞ্চলিক দৈনিক যুগভেরী ও সিলেট ভিউ’র সাথে কমর্রত ছিলেন।
সাংবাদিকতার পাশাপাশি কুলাউড়ার সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও ছিল তাঁর বিচরণ ছিল। তিনি উদীচী শিল্পী গোষ্টি কুলাউড়ার শাখার নির্বাহী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
এদিকে শাকিরের মৃত্যুতে দৈনিক নয়া শতাব্দীর সম্পাদক নাঈম সালেহীন ও প্রকাশক ওয়ালীউর রহমান শোক প্রকাশ করে বলেন, শাকির ছিলো শতাব্দী পরিবারের এক সদস্য। তাঁর অকাল প্রয়াণে আমরা শোকাহত। নয়া শতাব্দী পরিবার সব সময় শাকিরের পরিবারের পাশে থাকবে এবং সকল রকম সহযোগিতা করবে।
নয়া শতাব্দী/এসইউ
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ