বাংলাদেশের সড়ক ব্যবহার করে ভারতের আসাম থেকে উত্তর ত্রিপুরার কৈলাশহরে গেল ১০ ট্যাংকার জ্বালানি তেল ও তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি)।
বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) রাতে চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে জ্বালানির এ বহর ত্রিপুরা রাজ্যে পৌঁছে।
এরআগে দুপুরে ভারতের আসাম থেকে মেঘালয় হয়ে সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দর পৌঁছে ১০টি পেট্রোলিয়ামবাহী গাড়ি। সেখানে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শেষে একত্রে একটি কনভয় হিসেবে ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশনের কান্ট্রি ম্যানেজার মো. মাজহার আলমের উপস্থিতিতে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শুল্ক বিভাগের সিলেট বিভাগীয় উপকর কমিশনার মো. আল আমিন, তামাবিল স্থল শুল্ক বন্দরের উপপরিচালক মাহফুজ আলম ভূঁইয়া। পরে গাড়ি বহরটি মৌলভীবাজারের চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়।
চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশন কর্তৃপক্ষ জানায়, পেট্রোলিয়াম বা তরলকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) বহনকারী ট্যাংকার গাড়িগুলো বাংলাদেশের ভূখন্ড ব্যবহারের জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষ আইওসিএল প্রশাসনিক মাশুল, চার্জ, স্থানীয় টোল এবং স্থানীয় ভূখন্ড ও সড়ক ব্যবহারের ফিসহ অন্যান্য খরচ বহন করেই বাংলাদেশের সড়ক ব্যবহার করে।
চাতলাপুর স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা রেজাউল কবির কাজল সাংবাদিকদের বলেন, ভারত- বাংলাদেশের সমঝোতা চুক্তির মাধ্যমে তামাবিল স্থলবন্দর হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে ভারতের উত্তর ত্রিপুরার কৈলাশহরে বৃহস্পতিবার রাতে এ জ্বালানি পণ্য প্রবেশ করে।
পরীক্ষামূলক ট্রানজিট কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার মাধ্যমে বন্ধুপ্রতীম উভয় দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক যেমন নতুন মাত্রা পাবে, তেমনি আমাদের দেশের রাজস্বখাত সমৃদ্ধ হবে।
এর আগে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে ভারী বৃষ্টি ও ভূমিধসে আসাম থেকে ত্রিপুরার সড়ক (এনএইচ ৪৪) নষ্ট হওয়ায় আসাম থেকে বাংলাদেশ হয়ে ত্রিপুরায় জ্বালানি তেল পাঠিয়েছিল ভারত। সেবার বাংলাদেশ দুই মাসের জন্য জ্বালানি পরিবহনে ভারতকে ভূখন্ড ব্যবহার করতে দিয়েছিল।
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ