পাবনার সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ) সার্ভেয়ার আকরাম হোসেনের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযানে ‘ঘুষের টাকা না দেয়ায় বাড়ি ভেঙে দেয়া হয়েছে’ বলে আনিত অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট মিডিয়ায় সার্ভেয়ার আকরামে বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে সওজ-এর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলমকে আহ্বায়ক ও আরেক উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আমান উল্লাহকে সদস্য করে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়।
সার্ভেয়ারের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মর্মে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তদন্ত কমিটি।
জানা যায়, বানেশ্বর-সারদাঘাট-বাঘা-লালপুর-ঈশ্বরদী (আর-৬০৬) (পাবনা অংশ) সড়কে গত ২২ জুন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। উচ্ছেদ অভিযানে ‘ঘুষের টাকা না দেয়ায় বাড়ি ভেঙে দেয়া হয়েছে’ বলে ঈশ্বরদীর গোপালপুর উত্তরপাড়ার জনৈক আজিম সরদার গত ২৮ জুন সার্ভেয়ার আকরাম হোসেনর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন।
সেসময় বিভিন্ন মিডিয়ায় ‘ঘুষের টাকা না দেয়ায় সার্ভেয়ার বলেন, ‘পরে ঠ্যালা বুঝবেন' শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরই প্রেক্ষিতে নির্বাহী প্রকৌশলী গত ৪ জুলাই দুই সদস্যের এই তদন্ত কমিটি গঠন করেন।
সরেজমিনে তদন্ত এবং বিভিন্ন পক্ষের বক্তব্য গ্রহণের পর তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে গঠিত কমিটি। প্রকাশিত তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘সার্ভেয়ার আকরাম হোসেনের বিরুদ্ধে ঘুষের টাকা চাওয়ার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। অভিযোগটি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন'।
অভিযোগকারী আজিম সরদারের অবৈধ স্থাপনা সওজ এর জায়গাতেই ছিল। অবৈধ স্থাপনার পরিমাণের চেয়ে বেশী ভাঙ হয়নি। তার স্থাপনার আরো অংশ সওজ এর জায়গার মধ্যে রয়েছে।
তদন্ত প্রতিবেদনের প্রেক্ষিতে সওজ-এর নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল মনসুর আহমেদ কর্তৃক বিভিন্ন দফতরে প্রেরীত পত্রে বলা হয়, সরকারি উন্নয়ন কাজে বাঁধা, সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন, সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ দাখিল এবং মানহানিকর তথ্য বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে।
নয়া শতাব্দী/এমএস/এমআর
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ