ভোলার তজুমদ্দিনে জলদস্যুর হাত থেকে মুক্তিপণ ছাড়া মিলছে না মুক্তি, মেঘনায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে আবারো জলদস্যুরা সাত জেলেকে অপহরণ করেছে। সাতদিন আগে অপহৃত পাঁচ জেলে দেড়লক্ষ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে ফিরে আসে। এর কিছুদিন আগেও ১০জেলেকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করলেও জলদস্যু দমনে প্রশাসনের তেমন তৎপরতা নেই বলে জানান স্থানীয় মৎসজীবি ও ব্যবসায়ীরা।
মৎস্যজীবি ও জেলে পরিবার সূত্রে জানা যায়, সোমবার (২২ আগস্ট) দিবাগত রাতে উপজেলার চরজহিরউদ্দিন এলাকার মেঘনা নদীতে জলদস্যু বাহিনী জেলেদের মাছ ধরারত ১০/১৫টি ট্রলারে হানা দিয়ে মাছ-জাল মোবাইলসহ মালামাল লুট করে। এসময় চরজহিরউদ্দিন মাছ ঘাটের জেলে জসিম মাঝি, মনজু মাঝী, কামাল মাঝি, রিয়াজ মাঝি, রাসেল, নয়ন, কালামসহ বিভিন্ন নৌকার মাঝি ও মালিককে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে ফোন করে পরিবারে সদস্যদের কাছে ৫০ হাজার টাকা করে মুক্তিপণ দাবি করে।
জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান, একদিকে নদীতে মাছ কম, অন্যদিকে তেলের দাম বেশী। এরপর মরার উপর খরার ঘাঁ, জলদস্যুতা। কিছুদিন পরপর ডাকাতি ও অপহরণের ঘটনা ঘটলেও প্রশাসনের তেমন তৎপরতা নেই বলে তারা অভিযোগ করেন।
তজুমদ্দিন কোস্টগার্ড কমান্ডার বলেন, আড়ৎদারের মাধ্যমে জেলে অপহরণের খবর শুনেছি। অপহরণকারীদের মোবাইল নাম্বার পেলে ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে উদ্ধার তৎপরতা চলবে। ব্যাপারটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
তজুমদ্দিন থানা অফিসার ইন-চার্জ এসএম জিয়াউল হক বলেন, গত সপ্তাহে ৫ জেলে অপহরণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ দুইজনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অপরাধীকে আটকসহ সাত জেলেকে উদ্ধারে চেষ্টা চলছে।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ