টাঙ্গাইলে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে চাল, মুরগি, ডিমসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
আর ক্রেতারা বলছে, তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামে প্রভাব পড়েছে। জ্বালানির তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে বাজারো আরো দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে সাধারণ মানুষেরা।
টাঙ্গাইল শহরের পার্কবাজার ও বটতলা, ছয়আনী বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতারা দরদাম করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনছেন। তবে দাম বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে তাদের মধ্যে হতাশাগ্রস্ত দেখা যায়।
ক্রেতারা বলেন, গত এক সপ্তাহ আগে বয়লার মুরগির দাম ছিলো ১৫০ টাকা। আর বর্তমানে বয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ২১০ টাকায়। লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়। এর আগে লেয়ার মুরগির দাম ছিলো ২৮০ টাকা। কক মুরগির প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকা। এর আগে কক মুরগির দাম ছিলো ২০০ টাকা। তবে অপরিবর্তিত রয়েছে গরু মাংস ও খাসির দাম। গরু বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি এবং খাসি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা কিজিতে।
এদিকে প্রতি হালি ডিমের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। বয়লার মুরগীর ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা হালিতে। এর আগে প্রতি হালি ডিমের দাম ছিলো ৪০ টাকা। দেশি ও হাঁসের ডিম প্রতি হালি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। এর আগে দাম ছিলো ৫০ টাকায়।
৫ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। ১০ টাকা বেড়ে আটা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। অপরদিকে প্রতি কেজি চালে ২ থেকে ৩ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৭২ টাকা কেজি, ২৯ বিক্রি হচ্ছে ৫৪ টাকা কেজি এবং মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৭৪ টাকা কেজিতে।
পার্ক বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম বলেন, তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় মুরগি ট্রাকের ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে। এছাড়া মুরগির খাদ্যের দাম বস্তা প্রতি ৫০০ টাকা বেড়েছে। এর ফলে প্রতিটি মুরগির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
ডিম বিক্রেতা মকবুল হোসেন বলেন, প্রতিটি ডিমের হালিতে গড়ে ১০ টাকা করে বৃদ্ধি পেড়েছে।
চাল ব্যবসায়ী আব্দুল গণী বলেন, প্রতিটি চালেই প্রায় ২ থেকে ৩টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। মিল মালিকরা পর্যাপ্ত পরিমাণে চাল না দেয়ার বাজারে দামে প্রভাব পড়েছে।
টাঙ্গাইল শহরের রেজিস্ট্রিপাড়া এলাকার অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংক কর্মকর্তা ক্রেতা নুরুজ্জামান মিয়া বলেন, উন্নয়ন মহাসড়কের দেশে প্রতিটি জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে আমাদের ভোগান্তির শেষ নেই। এভাবে জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারণ মানুষের ক্ষোভের শেষ শেষ নেই।
শিক্ষার্থী আব্দুল করিম ও নাজমুল বলেন, আমরা মেসে থেকে লেখাপড়া করছি। জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আমাদের উপর প্রভাব পড়েছে। এতে আমাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
নয়া শতাব্দী/এমএস
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ