জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের ফোরলেন এর অবকাঠামো নির্মাণ কাজ বন্ধ রয়েছে। জানা যায়, সহকারী ঠিকাদারদের পণ্য পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।
গত সপ্তাহের প্রথম দিকে বগুড়ায় ফোরলেন নির্মাণের কাজ চলমান দেখা গেলেও, গত কয়েকদিন ধরে তাদের কোন কার্যক্রম বা শ্রমিকদের দেখা যাচ্ছে না। নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এই রুটের পরিবহন চালক ও যাত্রীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে হতাশা।
জানা যায়, বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম প্রান্ত থেকে রংপুর পর্যন্ত সাসেক্স-২ প্রকল্পের ফোরলেনের কাজ গত বছর থেকে ভালো ভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিল । কিন্তু গত সপ্তাহে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে ফোরলেন নির্মাণ ধাক্কা খাচ্ছে। সিরাজগঞ্জ’র বঙ্গবন্ধু সেতুর পশ্চিম প্রান্ত থেকে রংপুর পর্যন্ত ১৭৫ কিলোমিটারে সড়ক নির্মাণ কাজের সহকারী ঠিকাদাররা নির্মাণ সামগ্রীর সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছেন। তারা বলছেন, তাদের পরিবহন ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বর্তমান মূল্যে তাদের পক্ষে নির্মাণ কাজের সামগ্রী সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।
এদিকে নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখায় চলাচলরত চালক যাত্রীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। তারা বলছেন, কাজ বন্ধ রাখায় ফোরলেনের নির্মাণ শেষ করতে বেশী সময় লাগবে, এতদিন এই ভাঙ্গা রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে হবে এমনটাই আশঙ্কা করছেন তারা।
এ বিষয়ে বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর জানান, বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে রংপুর পর্যন্ত মহাসড়কে ফোরলেন নির্মাণের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে এ সড়কে চলাচলরতদের দুর্ভোগ বাড়বে। নির্মাণ কাজ দ্রুত শেষ হলে চলাচলে সুবিধা বাড়বে।
ফোরলেন প্রকল্প কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। সহকারী ঠিকাদাররা হাত গুটিয়ে নেয়ায় ফোরলেনের কাজ স্থবির হয়ে পড়েছে। কিন্তু আন্ডার পাস এবং ওভার পাসের কাজ যথারীতি চলছে। আন্ডার পাস ও ওভার পাস নির্মাণ কাজের প্রায় ৫৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে এমন দাবি সাসেক্স-২ এর প্রকল্প কর্মকর্তার।
ডেপুটি প্রজেক্ট ডিরেক্টর জয় প্রকাশ চৌধুরী জানান, মূল ঠিকাদারদের চুক্তি অনুযায়ী কাজ করতে হবে। হয়তো তারা পর্যবেক্ষণ করছেন। তারা ভাবছেন ঠিকদাররা অন্যদিকে ব্যয় কমিয়ে সমন্বয় করতে পারেন কি না। এডিবি এই প্রকল্পের কাজ পর্যবেক্ষণ করেছে।
তিনি আরও তারা জানান, ত্রয়মূল্যে কি ধরনের প্রভাব পড়েছে বিষয়টি অর্থ মন্ত্রণালয় পর্যবেক্ষণ করছে এবং ১৫ দিন পর ব্যবস্থা নেবে। পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্যের ভিত্তিতে দর সমন্বয়ের ব্যবস্থা আছে। দর সমন্বয়ে আমরা পরিসখ্যান ব্যুরোর পরিসংখ্যান ব্যবহার করি। ঠিকাদারদের বসে থাকার কোনো সুযোগ নেই, সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে।
তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মনিকো লিমিটেড এর আরমান হোসেন জানান, সহকারী ঠিকাদাররা তেলের মূল্যবৃদ্ধির পর থেকে ট্রাক ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় নির্মাণ সামগ্রী সরবরাহে অনীহা প্রকাশ করছে। সে কারণে কাজের গতি কমে গেছে। বলতে গেলে কাজ প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ