মানুষ জীবন সংসারের জন্য হরেক রকম পেশা বেচে নেয়। একটু খেয়ে-পড়ে থাকার জন্য হাতের কাছে যা কর্ম পায় সে কর্মকে আকঁড়ে ধরে বাঁচতে চায়। তার প্রমাণ কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের মনিরকান্দা গ্রামের মৃত হাসমত উল্লার পুত্র আতিক মিয়া (৩৫)।
ছোট বেলায় মা-বাবাকে হারিয়ে সংসারের হাল তার ধরতে হয়েছে। নিজের জমি-জিরাত নেই, কিন্তু অন্যের জমিতে কীটনাশক স্প্রে করে জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি। ১৫ লিটারের কীটনাশক মিশ্রিত পানির প্রতিটি ট্যাংকির স্প্রে বাবদ তিনি ৫০ টাকা নেন। এভাবে তিনি একদুপুর কাজ করলে ৪ থেকে ৫ শত টাকা আয় হয়। আর এদিয়ে পরিবারের খাবারের সংস্থান করেন।
তিনি বলেন, বাবা-মা ছোট বেলায় পরলোক গমন করলে স্কুলের বারান্দায় যেতে পারিনি। ১৫ বছর বয়স থেকেই আমি কৃষকদের জমিতে কীটনাশ প্রয়োগ করে আসছি। উপজেলার চরপাড়া তলা, মনিরকান্দা ও তালুকদারপাড়া গ্রামের প্রায় সবাই সবজি চাষি। তাই আমাকে স্প্রে করার জন্য অন্যকোন গ্রামে যেতে হয় না। যে কৃষকের আমার প্রয়োজন পড়ে তারা মোবাইল ফোন করে অথবা বাড়ি থেকে আমাকে নিয়ে আসে, তাদের জমিতে কীটনাশক স্প্রে করার জন্য।
কৃষকও উপকৃত হয়। আর আমি তাদের কাছ থেকে প্রাপ্য অর্থ দিয়ে আমার সংসার চালাই। কোনো পেশাকে ছোট করে দেখা ঠিক না। সৎভাবে উপার্জন করে বর্তমানে আমি সাবলম্বী। মানুষের উপকারের জন্য আমি এ পেশা ছাড়ার ইচ্ছা নেই।
নয়া শতাব্দী/এফআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ