সরকারি সহায়তা পেয়ে ভিক্ষাবৃত্তি ত্যাগ করার শপথ গ্রহণ করেছেন ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার ওয়াই গ্রামের জমিলা খাতুন, মাধবপুর গ্রামের জোসনা বেগম, মোছা. সখিনা খাতুন, কামারগাঁও গ্রামের মোছা. রহিমা খাতুন ও রাজদারিকেল গ্রামের রুকুমনি রবিদাস।
দীর্ঘদিন যাবৎ তাঁরা ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবনযাপন করছেন। তবে এখন থেকে তারা আর ভিক্ষা না করার শপথ করেছেন। কারণ তারা থাকার জন্য পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর উপহারের জমিসহ ঘর, জীবিকা নির্বাহের জন্য পেয়েছেন আয়ের একটি উৎস। তাঁরা সবারই ষাটোর্ধ। জীবনের এই ক্রান্তিলগ্নে এসে অন্যের কাছে হাত পেতে খেতে হবে না, এই ভেবে তাঁরা খুবই আনন্দিত।
ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান কর্মসূচির আওতায় ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা উপজেলা সমাজসেবা অধিদফতরের পক্ষ থেকে এই পাঁচজনের মধ্যে দুইজনকে ব্যাটারী চালিত রিকশা, দুইজনকে গরু ও একজন ভিক্ষুককে দোকান করে দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত আনুষ্ঠানিকভাবে অটোরিকশা, দোকানের চাবি ও গরু প্রদান করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) জিন্নাত শহীদ পিংকি, তারাকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল খায়ের, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রদীপ কুমার চক্রবর্তী রনু ঠাকুর, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম নয়ন ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রুবেল মন্ডল প্রমুখ।
ভিক্ষুক সখিনা খাতুন বলেন, অন্যের কাছে হাত পাতলে লজ্জা লাগে, কিন্তু উপায় ছিলো না। পেটে ক্ষুধা রেখে মুখে লাজ করলে চলবে না। তাই এতদিন ভিক্ষা করে সংসার চালিয়েছি। আজ থেকে আর ভিক্ষা করতে হবে না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মিজাবে রহমত বলেন, আপাতত পাঁচজনকে স্বাবলম্বী করতে এ উদ্যোগ। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ গড়তে উপজেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত করতে এ উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।
নয়া শতাব্দী/এফআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ