ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

মেহেদির রং না মুছতেই যৌতুকের বলি গৃহবধূ

প্রকাশনার সময়: ১২ আগস্ট ২০২২, ১৯:৫২

কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে পান্না আক্তার (১৯) নামের এক গৃহবধূর গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১২ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের শিমুহা নেহারদিয়া গ্রাম থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পান্না আক্তার ওই গ্রামেরই মো. আব্দুল হেকিম চৌকিদারের পুত্র মারফত আলীর সদ্য বিবাহিত স্ত্রী।

এদিকে নিহত পান্নার পরিবারের অভিযোগ, যৌতুক না পেয়ে স্বামী ও তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে হত্যা করে মরদেহ সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে প্রচার করছে।

নিহত পান্না আক্তারের বাবা আবু বাক্কার সিদ্দিক জানান, ২০২২ সনেরই ২৬ জুন পারিবারিকভাবে কটিয়াদী উপজেলার শিমুহা নেহারদিয়া গ্রামের মারফত আলীর সঙ্গে পান্নাকে বিয়ে দেই। আমার বাড়ি পার্শ্ববর্তী নিকলী উপজেলার জারুইতলা ইউনিয়নের ধারীশ্বর গ্রামে। বিয়ের পর থেকেই পান্নাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতো মারফত আলী। শুক্রবার দুপুরের দিকে তার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন পান্নাকে হত্যা করে গলায় ফাঁস দিয়ে মরদেহ বসত ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যায়।

তিনি আরো জানান, বিয়ের সময় মারফত আলীকে যৌতুক হিসেবে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা দিয়েছি। বিয়ের পর কিছু দিন যেতে না যেতেই আবারও ১ লাখ টাকা দাবি করে। আমি টাকা দিতে না পারায় পান্নাকে মারধর করতো তার স্বামী। দাবিকৃত টাকা দিতে না পারায় তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমার মেয়েকে মেরে ফেলেছে।

ফুটফুটে সুন্দর নববধূ পান্না আক্তারের হাতের মেহেদির রঙ না মুছতেই তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

কটিয়াদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম শাহাদাত হোসেন জানান, নিহত গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে তার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর জানা যাবে- পান্না আত্মহত্যা করেছে নাকি তাকে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে।

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ