ঘেরের পানিতে নানা প্রজাতির মাছ সাঁতার কাটছে। পাড়ে কৃষক বহুস্তর ভিত্তিক সবজির চাষ করেছেন। ঘেরের পাড়ের জমি আগে পতিত থাকতো। এখন এখানে ফলছে সোনালী ফসল। লাভবান হচ্ছেন কৃষক। এতে তারা অর্থনৈতিকভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
সূত্র জানিয়েছেন, এই প্রযুক্তিতে মাটি ও সার ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ঘেরের পাড়ে বিভিন্ন প্রকার সবজি উৎপাদন করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে কৃষক পর্যায়ে ছড়িয়েছে গোপালগঞ্জ, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও পিরোজপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প এর জিকেবিএসপি প্রকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ঘেরের পাড়ে বহুস্তর ভিত্তিক সবজি চাষের গবেষণা বাস্তবায়িত হয়েছে। কৃষক একই সাথে ঘেরের পাড়ে লাউ, বরবটি, চালকুমড়া, মিষ্টি কুমড়া ও মরিচসহ নানা রকমের সবজি চাষ করেছেন। আবাদ ও ফলনও ভালো হচ্ছে। এই বহু মাত্রিক সবজি চাষে কৃষকরা অধিক লাভবান হচ্ছেন।
গোপালগঞ্জ-খুলনা-বাগেরহাট-সাতক্ষীরা-পিরোজপুর এই ৫ জেলায় প্রকল্পের আওতায় ৬৫টি ঘেরের পাড়ে ২৫০বিঘা ঘের রয়েছে। ৬৫জন কৃষক মধ্য মার্চ থেকে চাষ করছেন। প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষকরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছেন। গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় গোপালপুর ও সদর উপজেলার রঘুনাথপুর, বাগেরহাটের যাত্রাপুর এলাকার মোর্শেদপুর, খুলনার ডুমুরিয়ার কুলবাড়িয়া এবং সাতক্ষীরার সদরে ঘেরের পাড়ে চাষ করা হয়েছে এই সবজি। বর্ষাকালে সেচের সংকট নেই।
সম্ভাবনাময় মৎস্য ঘেরের পাড়ে মাচায় ঝুলছে নানা রকম সবজি। উন্নত প্রযুক্তিতে চাষ করলে ফলন ভালো হয়। এ বছর বৃষ্টির অভাবে সবজির ক্ষতি হলেও বর্ষায় ক্ষতি পুষিয়ে নিচ্ছেন কৃষক। নিয়মিত সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয়। আগাছা দমন করতে হবে। এই প্রকল্প থেকে কৃষকদের বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ, বীজ, সার, কীটনাশক এবং শ্রমিকদের শ্রম মজুরি প্রদান করা হয়েছে।
বটিয়াঘাটা উপজেলার বয়ারভাঙ্গা গ্রামের কৃষক দিবাংশু মন্ডল বলেন, বেশ ভালো দামে সবজি বিক্রি করা হচ্ছে। আগের তুলনায় অর্থনৈতিক লাভবান হয়েছি।
ডুমুরিয়া উপজেলার কুলবাড়িয়া গ্রামের অরিন্দম গাইন বলেন, প্রশিক্ষণ, বীজ, সার ও শ্রমিকের মজুরিসহ সব কিছু এই প্রকল্প থেকে বিনামূল্যে দেয়া হয়েছে। তাদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তি ব্যবহার করায় ফলন ভালো হয়েছে। বিক্রিও বেশ ভালো।
গোপালগঞ্জ-খুলনা-বাগেরহাট-সাতক্ষীরা-পিরোজপুর কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প (জিকেবিএসপি প্রকল্প) কর্মকর্তা অমরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন, কৃষককে দিয়ে প্রদর্শনী প্লট স্থাপন করা হয়েছে। আবাদ ভালো হয়েছে। নানা প্রকার সবজি চাষে অর্থনৈতিকভাবে কৃষকদের ভাগ্যের চাকা ঘুরছে।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ