তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক ব্যবসায়ীদের অযৌক্তির লাইসেন্স গ্রহণের প্রস্তাবনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে রংপুরে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।
রোববার (৩১ জুলাই) দুপুরে রংপুর পুলিশ কমিউনিটি হলে জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব সংবাদ সম্মেলনে জানান, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনের লক্ষ্যে প্রনীত খসড়া আইনে ‘বাধ্যতামূলক লাইসেন্স গ্রহণ ব্যতিত তামাক ও তামাকজাত বিক্রয় নিষিদ্ধকরণ, ধুমপান এলাকার ব্যবস্থা বিলুপ্তকরণ, খুচরা শলাকা বিক্রয় নিষিদ্ধকরণ, পাবলিক প্লেসের সাথে চায়ের দোকান অর্ন্তভূক্তকরণ, বিক্রয়স্থলে তামাকজাত পণ্য প্রদর্শন নিষিদ্ধকরণ, ফেরি করে তামাকজাত পণ্য বিক্রি নিষিদ্ধকরণ ও সার্বিকভাবে জরিমানার পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধিকরণ এবং যে কোনো প্রকার অভিযোগের ক্ষেত্রে ফৌজদারী কার্যবিধি অর্ন্তভূক্তকরণ’ উল্লেখ করা হয়েছে। এ আইন বাস্তবায়ন হলে দেশের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জীবন-জীবিকার উপর আঘাত আসবে।
তিনি বলেন, ‘জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতি, বাংলাদেশ (নাসিব)’ জাতীয় পর্যায়ে সর্ববৃহৎ বেসরকারী সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠা লগ্ন ১৯৮৪ সাল থেকে সারাদেশে হাজারো নারী ও পুরুষ উদ্যোক্তাদের সাথে নিয়ে অতি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্প খাতকে সমৃদ্ধ ও অর্থবহ করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, বর্তমানে, ‘জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতি, বাংলাদেশ (নাসিব)’ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় শিল্প উন্নয়ন পরিষদ (এনসিআইডি), এসএমই টাস্কফোর্স ছাড়াও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অনান্য দপ্তর/ সংস্থা বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক), এসএমই ফাউন্ডেশন (এসএমইএফ), ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও), বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ব্যবসায় প্রচার পরিষদ (বিপিসি), রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি), ডিপার্টমেন্ট অব পেটেন্ট ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেডমার্ক (ডিপিডিটি), প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীনে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (এনএসডিএ), এটুআই, দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই), বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন (ইঊঋ) অন্যান্য বাণিজ্য সংক্রান্ত সমিতি এবং জেলা চেম্বারগুলো ছাড়াও জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে গঠিত বিভিন্ন সরকারী কমিটিগুলোতে প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে সরকারের গৃহীত শিল্প নীতিমালা ২০১৬, এসএমই নীতিমালা -২০১৯, ও অর্থনৈতিক কর্ম পরিকল্পনা, এসডিজি- ২০৩০ অর্জন, অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
এ সময় সাতটি দাবি তুলে ধরে বলেন, বাধ্যতামূলক লাইসেন্স গ্রহন ব্যতীত তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য বিক্রীয় নিষিদ্ধকরণ, ধুমপান এলাকার ব্যবস্থা বিণুপ্তিকরণ, খুরচা শলকা বিক্রীয় নিষিদ্ধকরণ,পাবলিক প্লেসের সংজ্ঞায় চায়ের দোকান অন্তভর্িূকরণ, বিক্রয়স্থলে তামাকজাত পণ্য প্রদর্শন নিষিদ্ধকরণ, ফেরি করে তামাকজাত পণ্য বিক্রী নিষিদ্ধকরণ ও সার্বিকভাবে জরিমানা পরিমান মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধিকরণ এবং যে কোন প্রকার অভিযোগের ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির অন্তর্ভূকরণ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রংপুর মেট্রোপলিটন চেম্বারের সভাপতি রেজাউল ইসলাম মিলন, নাসিবের সহ-সভাপতি আশরাফুল আনসারী, মুহম্মদ ওয়ালিদ প্রামাণিক, খাদিজা বেগম শোভা, নাসিবের মহিলা কাউন্সিলের সভাপতি সামসি আরা জামানসহ সদস্যরা।
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ