সরকারের গৃহায়ণ প্রকল্প নিয়ে নানা অভিযোগে তোপের মুখে আছেন বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা। এই ঘটনাকে পুঁজি করে চাঁদাবাজির জাল বিস্তার করেন সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জ শহরের রহমতগঞ্জ কাঠেরপুল এলাকা থেকে সাইফুলকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা যায়, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে গৃহায়ণ প্রকল্পে অনিয়ম ও দুর্নীতির সংবাদ প্রচার হলে সরকার অনেককেই শাস্তি দিতে শুরু করে। এসব সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোনা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সভাপতি সাইফুল ইসলাম দেশের বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের ফোন দিতে শুরু করে। ফোনে তিনি নিজেকে চ্যানেল আই এর সাংবাদিক চকর মালিথা বলে পরিচয় দিতে থাকেন। সে ইউএনওদের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচার করা হবে বলেও হুমকি দেন। এতে ওই সকল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাদের মাধ্যমে বিকাশে টাকা পাঠাতে থাকেন।
বিষয়টি বাগেরহাট জেলা পুলিশের নজরে এলে পুলিশ বিষয়টি সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশকে জানায়। পরে সিরাজগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নিয়ে তদন্ত করে। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শহরের কাঠেরপুল এলাকা থেকে তাকে আটক করে। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে নিজের দোষ শিকার করে।
সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার জানান, নানামুখী প্রতারণার অভিযোগে এর আগেও সাইফুলকে কয়েক বার গ্রেফতার করা হয়েছে।
সাইফুলকে আটকের পর সংবাদ সম্মেলন করেছে সিরাজগঞ্জ জেলা পুলিশ। এতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারহানা ইয়াসমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সরাফত ইসলাম জানান, আটক সাইফুল ইসলাম একজন পেশাদার প্রতারক। তিনি প্রতারণার মাধ্যমে অনেকের কাছ থেকে টাকা আদায় করে থাকেন। তার বিরুদ্ধে এনআই অ্যাক্টের ৩টি মামলা আদালতে বিচারাধীন ও তদন্ত অব্যাহত রয়েছে। তদন্ত শেষে শিগগিরই তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ