কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় শাহ আলম (৬২) নামের এক ব্যক্তি করোনার টিকা নেওয়ার জন্য নিবন্ধন করাতে গিয়ে জানতে পারলেন তিনি মৃত। এ ঘটনায় তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা হতবাক হয়ে যান। জীবিত থাকার পরও কীভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে নাম কর্তন করে মৃত দেখানো হয়েছে তা প্রথম দিকে তিনিসহ পরিবারের সদস্যরা বুঝতে পারেননি। দীর্ঘদিন যাবত চেষ্টা করে জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে কোন কাজ করতে পারে নি তিনি।
শাহ আলম চাকরির কারণে দীর্ঘ ১৫ বছর যাবত সপরিবারে ঢাকায় থাকেন। পরে তিনি আগারগাঁও নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে জানতে পারেন, হালনাগাদের সময়ে মৃত দেখিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে তার নাম কর্তন করা হয়েছে। এর পর তিনি সোমবার (১৮ জুলাই) পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাচন অফিসে পুনরায় ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করেন।
জানা যায়, পাকুন্দিয়া পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ডের মধ্যে পাকুন্দিয়ার স্থায়ী বাসিন্দা মরম আলীর ছেলে শাহ আলম। এর আগে জাতীয় নির্বাচনসহ পৌর নির্বাচনে ভোট প্রয়োগ করেন।
২০২১ সালে পাকুন্দিয়া পৌরসভার নির্বাচনে শাহ আলম ভোট দেওয়ার জন্য কেন্দ্রে গেলে জানানো হয় ভোটার তালিকায় তার নাম নেই। তখন শাহ আলমের ধারণা ছিল কোনো কারণবশত তার নাম আসেনি। তাই সে ভোট দিতে পারেননি।
এদিকে করোনা ভ্যাকসিন প্রথম ডোজের টিকা আবেদন করতে কম্পিউটারের দোকানে গেলে জানান, সার্ভারে তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
শাহ আলমের জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে নাম বাদ পড়ার বিষয়টি নির্বাচন অফিসে জানতে চাইলে জানানো হয়, মৃত দেখিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে তার নাম কর্তন করা হয়েছে। এর পর শাহ আলম নির্বাচন অফিসে পুনরায় ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করেন।শাহ আলম জানান, আগে আমি পাকুন্দিয়া মৌসুমি সিনেমা হল পরিচালনা করতাম, তারপর ১৫ বছর আগে ঢাকা চলে যাই স্ব পরিবারে। তারপর বেশ কয়েকটি নির্বাচনে ভোট দিয়েছি। আমি এখনও বেঁচে আছি। আমার নাম জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে কেন কর্তন করা হয়েছে জানি না। তিনি এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে নাম কর্তন করায় অনেক ঝামেলার সৃষ্টি হয়। অনেক জায়গায় দৌড়াদৌড়ি করতে হয়েছে। আবার ভোটার আইডি কার্ড সংশোধনের জন্য নির্বাচন অফিসে দরখাস্ত জমা দিয়েছি।
পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াৎ হোসেন জানান, শাহ আলম কে মৃত দেখানো হচ্ছে। মনে হয় তথ্য সংগ্রহকারীরা কোথাও ভুল করেছেন। তার ভোটার কার্ডটি সংশোধনের জন্য একটি আবেদন করেছেন। বিষয়টির সমাধান করা হবে।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ