জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে নদীতে পড়ে মেহেদী হাসান (১৫) নামের এক কিশোর নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ১৪ ঘণ্টা পর তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (১৮ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টায় ওই কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
উপজেলার হলহলিয়া রেলসেতু অতিক্রম করার সময় রেল সেতুর গার্ডারের সাথে ধাক্কা লেগে নিচে নদীতে পড়ে যায়। এসময় রেল সেতুতে তার একটি বিচ্ছিন্ন হাত, মোবাইল ফোন ও ম্যানিব্যাগ পাওয়ায় যায়। মেহেদী হাসান পঞ্চগড় সদর উপজেলার কানাপাড়া হাফেজিয়াবাদ (রাজমহল) গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে।
কিশোরকে উদ্ধারে স্থানীয়রা ও ফায়ার সার্ভিসের একটি দল রোববার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা থেকে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে প্রায় ১৪ ঘণ্টা পর লাশ উদ্ধারে সক্ষম হয়।
স্থানীয় ও রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, রোববার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস ৭০৫ নম্বর ট্রেনটি উপজেলার হলহলিয়া রেলসেতু অতিক্রম করার সময় সেতুর গার্ডারে ধাক্কা লেগে তাৎক্ষনিক নিচে পড়ে গিয়ে নিখোঁজ হয় মেহেদী হাসান। এসময় তার একটি হাত বিচ্ছিন্ন হয়ে সেতুতে আটকে যায়। স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে বিচ্ছিন্ন হাত দেখতে পেয়ে রেল পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং আক্কেলপুর থানা পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল রাত থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু করে সোমবার সকাল সাড়ে ৮টায় মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
জয়পুরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারী উপ পরিচালক শওকত আলী জোয়ার্দ্দার বলেন, খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে এসে রোববার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত প্রায় তিন ঘণ্টা প্রচেষ্টা চালিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পরে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসে যোগাযোগ করে সেখান থেকে ডুবুরি দল এসে প্রচেষ্টা চালিয়ে সকাল সাড়ে আটটায় মরদেহ উদ্ধারে সক্ষম হয়।
এ বিষয়ে শান্তাহার রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাকিউল আযম বলেন, মরদেহটি নদী থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এবিষয়ে রেলওয়ে থানায় একটি অমৃত্যু দায়ের হবে এবং আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।
নয়াশতাব্দী/জেডআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ