সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি লিয়াকত আলী কক্সবাজার আদালতে অন্য একটি মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন।
অন্য একটি হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে সাক্ষ্য প্রদানের রোববার কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতে তাকে উপস্থিত করা হয়।
সকাল ১০টার দিকে পুলিশের কড়া নিরাপত্তা লিয়াকত আলীকে আদালতে আনা হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবদুল্লাহ আল মামুনের আদালতে তিনি সাক্ষ্য প্রদান করেন বলে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম।
তিনি জানান, ২০১৯ সালের ২৭ আগস্ট টেকনাফ থানায় দায়ের হওয়া আবদুল করিম হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ছিলেন লিয়াকত আলী। তিনি ওই মামলার ৬ জন আসামির জবানবন্দি গ্রহণ করে ছিলেন। ওই মামলার সাক্ষ্য প্রদানের জন্য লিয়াকতকে কক্সবাজার আদালতে আনা হয়েছিল। সাক্ষ্য প্রদান শেষে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে লিয়াকতকে কক্সবাজার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
২০২০ সালের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরে এপিবিএন চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। গত ৩১ জানুয়ারি আলোচিত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাঈল।
এতে টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে মৃত্যুদণ্ড, ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। এ ছাড়া সাতজনকে খালাস দেয়া হয়েছে। আদেশের পর থেকে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ২ আসামি ঢাকার কারাগারে কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। মামলার সাক্ষ্য প্রদানের জন্য লিয়াকত আলীকে কক্সবাজার আনা হয় শনিবার। তাকে ফের ঢাকা পাঠানো হবে।
নয়া শতাব্দী/এসএম
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ