দৈনিক নয়া শতাব্দীতে সংবাদ প্রকাশের পর গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল গেট সংলগ্ন সেই ‘ঢাকা ডায়াগনস্টিক সেন্টার’টি সিলগালা করেছে জেলা স্বাস্থ্য প্রশাসন।
এরআগে গত বুধবার (১৩ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে অভিযুক্ত ঢাকা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অবৈধভাবে চিকিৎসা দিতে গিয়ে ওমর উদ্দিন নামে এক বৃদ্ধ ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এ নিয়ে ‘পরিচালকের ভুলেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে: ডা. মুরাদ’ শিরোনামে নয়া শতাব্দীতে একটি নিউজ প্রকাশিত হয়। এরই প্রেক্ষিতে একই দিন সন্ধ্যায় গাইবান্ধার সিভিল সার্জন ডা. আ খ ম আখতারুজ্জামান এর নির্দেশনায় প্রশাসনের একটি অভিযানিক দল ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সিলগালা করে দেন। আর এ ঘটনায় গোটা গাইবান্ধাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডা. আ খ ম আখতারুজ্জামান মুঠোফোনে নয়া শতাব্দীকে বলেন, ‘আপাতত ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। আগামী রোববার এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। যাতে করে কে, কীভাবে এবং কেন এই রোগীর মৃত্যু হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়। তদন্ত শেষে প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
উল্লেখ্য, বুধবার সকাল ৭টার দিকে হৃদ রোগী বৃদ্ধ ওমর উদ্দিনকে নিয়ে তার স্বজনরা গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানকার দায়িত্বরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। এসময় ঢাকা ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর পরিচালক এম আই কাইয়ুম তাদেরকে চিকিৎসার প্রলোভন দেখিয়ে তার প্রতিষ্ঠানে নিয়ে যান। সেখানে আগে থেকেই অবস্থান করা চিকিৎসক ডা. মনির হোসেন মুরাদ রোগীকে হৃদ রোগের প্রাথমিক ঔষধ খাওয়ান। এরপর রোগীর প্রেসার স্বাভাবিক করতে একটি ইনজেকশন আনতে বলেন ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক এম আই কাইয়ুমকে। সেসময় তিনি ইনজেকশনটি ৫০০ গ্রাম স্যালাইনের মধ্যে পুশ করে প্রতি মিনিটে ৮ ফোঁটা করে দেওয়া হবে বলে জানান। কিন্তু ডায়াগনস্টিকটির পরিচালক কাইয়ুম চিকিৎসকের পরামর্শ না শুনে ইনজেকশনটি স্যালাইনে না দিয়ে সরাসরি রোগীর হাতে পুশ করেন। এরপরপরই রোগীর মৃত্যু হয়।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ