ঢাকা, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ভারত থেকে চাল আনতে রাজি হচ্ছেনা আমদানিকারকরা

লোকসানের আশংকা, পশ্চিমবঙ্গে চালের দাম বেশি 
প্রকাশনার সময়: ১৪ জুলাই ২০২২, ১৬:৪৩ | আপডেট: ১৪ জুলাই ২০২২, ১৬:৪৫

দক্ষিণাঞ্চলের অভ্যন্তরীণ বাজারের চেয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে তুলনামূলকভাবে চালের দাম বেশি। গত বছরের চেয়ে এবার সেখানে কেজি প্রতি চালের দাম ১০ টাকা করে বেড়েছে। প্রতি কেজি চাল খুলনা অথবা নওয়াপাড়ায় আনতে ৬৫ টাকা খরচ হবে। স্থানীয় বাজারে প্রতিকেজি মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৬২ টাকা দরে। সরকার অনুমতি দিলেও লোকসানের ভয়ে বৃহত্তর খুলনার আমদানিকারকরা ভারত দেশ থেকে চাল আনতে আগ্রহ দেখাচ্ছেনা।

এর আগে বাজার মূল্য স্থিতিশীল রাখতে খুলনা ও সাতক্ষীরার ২৫ আমদানিকারককে নন-বাসমতী সেদ্ধ চাল ও আতপ চাল আমদানির অনুমতি দেয় খাদ্য মন্ত্রণালয়। ৭৪ হাজার মেট্রিক টন চাল আনার অনুমতি পান বৃহত্তর খুলনার এ ২৫ আমদানিকারক। খাদ্য মন্ত্রণালয় প্রথম দফায় ১১ আগস্ট ও দ্বিতীয় দফায় ১৭ আগস্টের মধ্যে আমদানির সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে। অসাধু ব্যবসায়ীরা জাতে কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে না পারে সেজন্যই সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছে।

অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে- সাতক্ষীরার ভোমরার রিয়াদ এন্টারপ্রাইজ, বিকাশ চন্দ্র সাহা, কলারোয়ার পলাশ এন্টারপ্রাইজ, মুকুল এন্টারপ্রাইজ, কাটিয়ার তাহারা ট্রেডার্স, মা-মনি ট্রেডার্স, তুরাজ এন্টারপ্রাইজ, মা ট্রেডার্স, হাসান ইমপেক্স লিমিটেড, নিশাত ইন্টারন্যাশনাল, ফাইয়াজ ইন্টারন্যাশনাল, কালিগঞ্জের পদ্ম এন্টারপ্রাইজ, সামির এন্টারপ্রাইজ, সেফ এন্ড সেফটি ইন্টারন্যাশনাল, সুলতানপুরের মন্দিরা ট্রেডার্স, তালার টাটা ক্রপকেয়ার কোম্পানি, মজুমদার এন্টারপ্রাইজ, খুলনার ফারাজিপাড়ার ইসলাম ট্রেডার্স, লবণচরার কাজী সোবাহান ট্রেডিং কর্পোরেশন, টুটপাড়ার কাজী এন্টারপ্রাইজ, জব্বার স্মরণির রাজলক্ষ্মী এন্টারপ্রাইজ, মজিদ স্মরণির এসএম কর্পোরেশন, ফুলতলার রত্না এন্টারপ্রাইজ, নিপা এন্টারপ্রাইজ ও লাবনী এন্টারপ্রাইজ।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মজিবুর রহমান আমদানির ক্ষেত্রে নির্দেশনাপত্রে প্রথম দফায় ২১ জুলাই ও দ্বিতীয় দফায় ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে এলসি খোলার এবং আমদানিকৃত বস্তায় চাল বিক্রির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। প্রথম দফায় ১১ আগস্টের মধ্যে এবং দ্বিতীয় দফায় ১৭ আগস্টের মধ্যে সকল চাল বাজারজাতকরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

চাল আনার অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠান রাজলক্ষ্মী এন্টারপ্রাইজের মালিক গোপাল সাহা তথ্য দিয়েছেন, ভারতের বর্ধমানে গত বছর প্রতি মেট্রিক টন মোটা চালের মূল্য ছিল ৩৬০ ডলার এবং চিকন ৪২৫ ডলার। এবারে আমদানির অনুমতি পাওয়া চালের প্রতি মেট্রিক টনের মূল্য ৪৯০ ডলার। সড়ক পথে যানজটের কারণে বর্ধমান থেকে নওয়াপাড়া অথবা খুলনায় আসতে চাল বোঝাই ট্রাকে ১ মাস ১০দিন সময় লাগে। প্রতিদিন গড়ে ২শ’ গাড়ি পাথর, গমের ভুষি, মসুরের ডাল, পেঁয়াজ, খেজুর, টমেটো, আঙ্গুর, বেদানা বেনাপোল বন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করছে। ফলে যানজট লেগেই আছে। বর্ধমান থেকে বেনাপোল স্থল বন্দর পর্যন্ত প্রতি কেজি মিনিকেট চাল আনতে ৬৫ টাকা খরচ পড়ে।

তিনি আরও তথ্য দিয়েছেন, স্থানীয় বাজারে ৬২ টাকা দরে প্রতি কেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে। এ কারণে লোকসানের আশংকায় আমদানিকারকরা চাল আনতে সাহস পাচ্ছে না। তিনি ১ হাজার মেট্রিক টন চাল আনার অনুমতি পেয়েছেন খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে। গত বছর ২ হাজার মেট্রিক টনের অনুমতি পেয়ে ৮শ’ মেট্রিক টন আমদানি করেন।

প্রসঙ্গত, গত বছরও অনুরূপ লোকসানের ভয়ে শেষ অবধি আমদানিকারকরা পিছিয়ে যায়।

নয়া শতাব্দী/এসএম

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ