স্কুলছাত্রী অপহরণের মামলায় ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ শরীফ (২১)কে আটক করে কারাগারে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ। তিনি মধুখালী পৌর সদরের গোন্দারদিয়া (রেল গেট) এলাকার দিলু শরীফের ছেলে।
সোমবার (১১ জুলাই) তাকে আটকের পর বিকেলে আদালতের মাধ্যমে ফরিদপুর জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ জুন দুপুরে মেছরদিয়া গ্রামের বাসিন্দা ওই স্কুলছাত্রী মধুখালী বাজার এলাকায় যান। বিকেলে প্রাইভেট পড়ে ফেরার পথে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে মো: আব্দুল্লাহ শরীফ জোর করে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান। এ ঘটনায় মেয়ের মা বাদি হয়ে ৯ জুন মধুখালী থানায় একটি নারী নির্যাতন ও অপহরণ মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর- ৮)।
এ ব্যাপারে মধুখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চম্পক বড়ুয়া বলেন, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত আসামি ওই মেয়েটিকে নিয়ে পলাতক ছিলেন। এ ঘটনায় মেয়েটির মা বাদি হয়ে থানায় একটি অপহরণ ও নারী নির্যাতনের মামলা দায়ের করেন। আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার (১১ জুলাই) আসামি আব্দুল্লাহ শরীফকে আটক করি এবং মেয়েটিকে উদ্ধার করে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করি।
এ ব্যাপারে মধুখালী উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো: ইনজামামুল আলম অনিক বলেন, ব্যক্তির দোষসংগঠন নেবে না। সংগঠনতো আর বলে না, এরকম কোন কিছু করার জন্য। এটা ওর ব্যক্তিগত ব্যাপার, সাংগঠনিক ব্যাপার না। তবে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এ বিষয়ে ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সৈয়দ তামজিদুল রশিদ চৌধুরী রিয়ান বলেন, আইনের কাছে যে অপরাধী সে সংগঠনের কাছেও অপরাধী। সংগঠন বিরোধী কেউ কোন কাজ করলে তার সিদ্ধান্ত সাংগঠনিকভাবে নেওয়া হবে। আমি বিষয়টি শুনেছি। মঙ্গলবার আমরা এই বিষয়ে একটা তদন্ত কমিটি করে দেবো এবং মামলার সত্যতা প্রমাণ হলে এই বিষয়ে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে মধুখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: শহিদুল ইসলাম সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় মেয়েটির মা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আব্দুল্লাহ শরীফকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ