ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

সাতক্ষীরায় মিলছে না ক্রেতা, নষ্ট হচ্ছে চামড়া

প্রকাশনার সময়: ১১ জুলাই ২০২২, ২১:১৭

সরকার চামড়ার দাম নির্ধারণ করে দিলেও নায্যমূল্য না পাওয়ায় সাতক্ষীরার বিনেরপোতা-বাইপাস সড়কে পচে নষ্ট হচ্ছে চামড়া।এদিকে সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকায় মাদ্রাসা ও এতিমখানার সামনে পড়ে আছে কোরবানি হওয়া পশুর চামড়া। জেলার অধিকাংশ জায়গায় দেখা মেলেনি ক্রেতার। অনেকে বাধ্য হয়ে চামড়া ফেলে দিচ্ছেন। মৌসুমী ব্যবসায়ীরা চামড়া কিনেও পড়েছেন বিপদে।

মোবাইলে যোগাযোগ করলে চামড়া কিনতে অনীহা প্রকাশ করছেন স্থানীয় পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা। বিশেষ করে ছাগলের চামড়া কিনতে অনীহা তাদের। তবে গরুর চামড়া প্রতি পিচ ১০০-১৫০ টাকা দরে বিক্রয় হয়েছে অনেক জায়গায়।

স্থানীয়রা বলেন, কোরবানি হওয়ার পর বাসাবাড়ি থেকে নিয়ে আসা ছাগলের চামড়ার ক্রেতা না পাওয়া। তার উপর পশুর চামড়ার ন্যায্য দাম থেকে বঞ্চিত হওয়ায় মাদ্রাসা ও এতিমখানাগুলো লোকসানের মুখে পড়বে। আর ক্রেতা না পেলে অন্যবারের মতো এবারও চামড়া ফেলে দিতে বাধ্য হবেন বলে জানান তারা।

সাতক্ষীরা জেলা শহর সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, নাম মাত্র দামে কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রি হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে যারা কোরবানি দিয়েছেন এমন অনেককেই বিক্রি করতে গিয়ে দাম না পেয়ে চামড়া নিকটবর্তী মাদ্রাসা ও এতিমখানায় দিতেও দেখা গেছে।

সাতক্ষীরা পৌর এলাকার রাজার বাগান, মুন্সিপাড়া, মুনজিতপুর, রইচপুর, বাঁকাল, সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর, মাছখোলাসহ বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, গরুর চামড়া প্রতি পিস ১০০-১৫০ টাকা ধরে বিক্রি হয়েছে। তবে যেসব অঞ্চলের যাতায়াত ব্যবস্থা খারাপ সেসব অঞ্চল থেকে পশুর চামড়া কিনতে অনীহা প্রকাশ করেছেন ব্যবসায়ীরা। আর ছাগল, ভেড়ার চামড়া কিছু জায়গায় ৫-১০ টাকায় বিক্রি করলেও অধিকাংশ জায়গায় এখনও অবিক্রিত রয়েছে। সে কারণে অনেকে বাধ্য হয়ে চামড়া ফেলে দিয়েছেন।

হাবিবুর রহমান নামে একজন নিজের ফেইসবুকে লিখেছেন, নায্যমূল্য না পাওয়ায় সাতক্ষীরার বিনেরপোতা-বাইপাস সড়কে পঁচে নষ্ট হচ্ছে চামড়া। শোরুমে বা বাজারগুলোতে চামড়াজাত পণ্যের দাম আকাশচুম্বী কিন্ত ঈদের সময় কুরবানির চামড়া নামমাত্র দামে কেনা হয়। ট্যানারী শিল্প প্রতিষ্ঠানেরা এসময় ঠিক কি কারণে সিন্ডিকেট করে এতিম অসহায়দের হকের টাকাগুলোকে ভাগাড়ে দিয়ে দেয় বুঝে আসে না।

খানপুর ছিদ্দীকিয়া সিনিয়র আলিম মাদ্রাসার এক শিক্ষক বলেন, ‘সারা দিনে কোরবানির প্রায় ৭৫টি ছাগলের চামড়া দান হিসেবে পেয়েছি। কেউ যদি প্রতি পিস চামড়ার দাম ৩-৪ টাকাও দিত, বিক্রি করে দিতাম। গরুর চামড়ার ক্রেতা মিললেও, ছাগলের চামড়ার কোনো ক্রেতাই নেই।’

শহরের রাজার বাগান এলাকার মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ী কুমারেশ দাশ বলেন, চামড়া কিনে এক প্রকার বিপদে পড়েছি। কাঁচা চামড়ার চাহিদা অনেক কম। খুব ভালো হলে গরুর চামড়া ৩৫০-৬৫০ টাকায় কিনছি। তবে এবার ভেড়া, ছাগলের চামড়া ক্রয় করছি না। তবে অনেক ব্যবসায়ীর সাথে কথা বলে জানতে- পেরেছি চামড়ার দাম ভালো পাওয়া যাবে না। যে দামে ক্রয় করেছি সেই দামে বিক্রি করতে না পারলে তো পথে বসে যেতে হবে

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ