আগামীকাল ঈদুল আজহা। ঈদুল আজহা মানেই পশু কুরবানি। আর পশু কুরবানির গোস্ত কাটার জন্য প্রস্তুত রাখতে হয় বিভিন্ন উপকরণ। কুরবানি ঈদকে সামনে রেখেই মানুষ এখন ব্যস্ত পশু কুরবানির উপকরণ সংগ্রহে। পশুর হাড় কাটার একটি উপকরণ হচ্ছে খাইটা। গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় তাই দেখা গেছে খাইটার দোকানে ব্যাপক ভিড়, বিক্রিও হচ্ছে বেশ।
এই খাইটাগুলো সাধারণত তেঁতুল গাছ দিয়ে করা হয়। তেঁতুল গাছের খাইটার মধ্যে হার কাটলে তার থেকে গুড়ি ওঠে না বলে জানা গেছে। কোরবানির দিন হার কাটার জন্য ব্যাপক হয়রানি হতে হয় এই খাইটা সংগ্রহ করতে। এই খাইটার মধ্যে রেখে সহজেই হাড় কাটতে পারে বলে এটি মানুষ আগ্রহ করে নিচ্ছে। দামও খুব একটা বেশি নয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কালিয়াকৈর বাসস্ট্যান্ডে মুজিবর ও শামসুল হক নামের দুই ব্যক্তি খাইটার দোকানের পসরা সাজিয়ে বসেছে। এসব ফাইটা সাইজের ছোট বড় হিসেবে দাম রাখা হচ্ছে। বিক্রি হচ্ছে জম্পেশ। কথা বলার সময় পাচ্ছে না তারা।
খোরশেদ নামের এক ব্যক্তি বলেন, ঈদের দিনে হার কাটার জন্য বাড়ি বাড়ি খাইটা খুঁজতে হয়। এখানে খাইটা পেয়ে ভালোই হলো, দামও খুব একটা বেশি নিচ্ছে না; তাই আমি একটা নিয়ে গেলাম।
হানিফ নামের একজন বলেন, তেঁতুল গাছের খাইটা তার মধ্যে হাড় কোপাইলে ঘুড়ি উঠে না এবং সহজভাবে হাড় কাটা যায় এবং কষ্ট কম হয় তাই এখানে খাইটা দেখে আমি একটা নিয়ে গেলাম।
খাইটা বিক্রেতা মজিবর বলেন, তেঁতুল গাছের খইটার মধ্যে হাড় কোপালে কোন প্রকার কাঠের গুড়া উঠে না সুন্দর ও সহজভাবে কাটা যায়। তেঁতুল গাছের খাইটাগুলো তাড়াতাড়ি ক্ষয় যায় না। খাইটার চাহিদা মোটামুটি ভালোই আছে। ভালই খাইটা বিক্রি হচ্ছে।
খাইটা বিক্রেতা শামসুল হক বলেন, যে পরিশ্রম করে এই খাইটাগুলো তৈরি করা হয়েছে সেই তুলনায় দাম নেওয়া হচ্ছে না, মোটামুটি সাধ্যের মধ্যে আছে। ছোট সাইজের খাইটা গুলো ২০০, মাঝারি ৩০০ থেকে ৪০০ এবং বড়গুলো ৫০০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ