ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

ঈশ্বরদীতে নজর কেড়েছে গোলাপি মহিষ

প্রকাশনার সময়: ০৮ জুলাই ২০২২, ১৬:৩৫

আর এক দিন পর রোববার ঈদ। শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে উত্তরাঞ্চলের অন্যতম বড় ঈশ্বরদীর অরনখোলার কোরবানির পশুর হাট। বাজারে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে। খামারি ও ব্যবসায়ীরা এসেছেন গরু নিয়ে। তবে এখনো গরুর দাম চড়া বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা। হাটে ছোট-বড় বিভিন্ন আকৃতির পশু থাকলেও ক্রেতাদের দৃষ্টি ছোট ও মাঝারি আকৃতির পশুর দিকেই বেশি। তবে ঈশ্বরদীতে কোরবানির জন্য ক্রেতাদের নজর কেড়েছে গোলাপি রঙের মহিষ।

পৌর এলাকার অরণকোলাহাট সংলগ্ন বেশ কয়েকটি খামারে এবার গোলাপি মহিষ পালন করা হয়েছে। দূর-দূরান্ত থেকে এসব মহিষ কিনতে ক্রেতারা খামারে আসছেন। অনলাইনেও অনেকে গোলাপি মহিষ কিনে নিচ্ছেন।

গোলাপি রঙের মহিষ দেখতে খামারে প্রতিদিন শত শত মানুষ ভিড় করছেন। অরণকোলার খামারগুলোতে প্রায় তিন-চার বছর ধরে গোলাপি রঙের মহিষ পালন করা হলেও এবারই প্রথম কোরবানির জন্য বিক্রি করা হচ্ছে।

আলো ডেইরি ফার্মের মালিক মাহাবুবুল আলম আলো জানান, তার খামারে দুটি গোলাপি রঙের মহিষ রয়েছে। এবার কোরবানিতে এগুলো তিনি বিক্রি করবেন। প্রতিদিনই ক্রেতারা আসছেন দরদাম করছেন। অনেকেই গোলাপি মহিষ দেখতে আসছেন।

মামা কৃষি ফার্মের মালিক শামীম হোসেন জানান, সাড়ে তিন বছর আগে তিনি অরণকোলা হাট থেকে গোলাপি রঙের দুটি মহিষের বাছুর ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে কিনেছিলেন। মহিষ দুটি সাড়ে ৯ লাখ টাকায় তিনি বিক্রি করেছেন। এ মহিষ কালো মহিষের মতোই শান্ত প্রকৃতির। খাদ্যাভ্যাসে কোনো পরিবর্তন নেই। শরীরের রঙ গোলাপি হওয়ায় ক্রেতাদের কাছে এ মহিষের কদর বেশি।

অরণকোলা ওয়ান স্টপ ক্যাটল র‌্যান্স ডেইরি ফার্মের মালিক গোলাম কিবরিয়া সোহান জানান, সাড়ে তিন বছর ধরে তিনি গোলাপি রঙের মহিষ পালন করছেন। কয়েকটি মহিষ বিক্রি হয়েছে। আরও দুটি মহিষ আছে। এ দুটির দরদাম চলছে। ১৪ মণ ওজনের মহিষটি ৫ লাখ টাকা দাম হয়েছে। আরেকটির দাম চার লাখ টাকা বলেছে।

অরণকোলা পশুর হাটটি উত্তরবঙ্গের বড় হাট হওয়ার কারণে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে পাইকার ও খুচরা ক্রেতারা ভিড় করেন এখানে। এই হাটে পশুর আমদানি বেশি থাকায় দামও কম থাকে। ফলে ক্রেতাদের জন্য সুবিধা।

ঈশ্বরদী উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নাজমুল ইসলাম জানান, অরণকোলা পশুর হাটে গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও চিকিৎসাসেবা দিতে মেডিকেল টিম কাজ করছে। সন্দেহজনক গরুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও রোগ নির্ণয়ের পাশাপাশি প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা রয়েছে।

তবে হাটের কোথাও ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে দেখা যায়নি। মাস্কের ব্যবহার নেই বললেই চলে যদিও দেশে আবার করোনাভাইরাস বাড়ছে।

ঈশ্বরদীতে অবস্থিত জেলা কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রের উপপরিচালক ডা. কাজী আশরাফুল ইসলাম জানান, সাধারণত বার্মা, থাইল্যান্ড ও ইন্ডিয়া থেকে এ ধরনের মহিষ এদেশে আনা হয়। শখের বশে অনেকেই পালন করছেন। গোলাপি মহিষ বাণিজ্যিকভাবে এখনো পালন শুরু হয়নি। গায়ের রঙ গোলাপি হওয়ায় এ মহিষের কদর বেশি মনে হচ্ছে। এসব মহিষের মাংস বেশ সুস্বাদু।

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ