ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আক্কেলপুরে আঙ্গুলের চাপে উঠে যাচ্ছে রাস্তার পাথর

প্রকাশনার সময়: ০৭ জুলাই ২০২২, ১৪:২৫

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে রাস্তা হওয়ার প্রায় ৪ দিনের মাথায় আঙ্গুলের চাপে পিচ ও পাথর উঠে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নিম্নমাণের কাজে ঠিকাদারের উপর ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা। ঘটনাটি উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়নের।

রাস্তার কাজটি চলছে উপজেলার গোপিনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে পার্শ্ববর্তী ক্ষেতলাল উপজেলার ফুলদিঘী বাজার পর্যন্ত। রাস্তাটির ১৯২৩ মিটার কাজের ব্যায় ধরা হয়েছে ১ কোটি ৪১ লক্ষ ৬৯ হাজার ৮০৫ টাকা। রাস্তার কাজটি করছে বগুড়ার মেসার্স রবি এন্ড ব্রাদার্স নামক এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

সরেজমিনে দেখা যায়, হাত ও পায়ের আঙ্গুল দিয়ে চাপ দিলেই উঠে যাচ্ছে রাস্তার পাথর। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নিম্নমানের এ কাজ হওয়ায় ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী ও নিয়মিত চলাচলকারীরা। স্থানীয়দের ধারণা অল্পদিনেই রাস্তা সম্পূর্ণরূপে নষ্ট হয়ে যাবে। এবিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে গ্রামবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনধিরা একাধিকবার মৌখিক অভিযোগ করলেও কোন লাভ হয়নি। সংবাদ সংগ্রহকালে নিম্নমাণের কাজ হয়ছে এমন অভিযোগ করে রাস্তায় চলাচলকারী অনেক পথচারি ও চালকদের ঠিকাদারকে বকাবকি করতেও দেখা গেছে।

নিম্নমাণের কাজের অভিযোগ পেয়ে রাস্তার কাজটি পরিদর্শণ করেন জয়পুরহাট জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী আলাউদ্দীন হোসেন, আক্কেলপুর উপজেলা প্রকৌশল কার্যালয়ের কর্মকর্তা রাকিব হাসান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ মোকছেদ আলী, গোপিনাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমানসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। এসময় ঠিকাদারের উপস্থিতিতে গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে নিম্নমাণের কাজ হচ্ছে এমন অভিযোগ করেন কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের নিকট।

ট্রাক চালক মজনু বলেন, ‘রাস্তার কাজ খুবই খারাপ হয়েছে। রাস্তা বেশিদিন টিকবে না। এখনই পিচ ও পাথর উঠে যাচ্ছে।’

৬৫ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ বলেন, ‘আমাদের এলাকায় এর আগে কখনো এত খারাপ কাজ হয়নি। আমি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমাদের গ্রামবাসীর দাবি রাস্তার কাজ ভাল করে দিতে হবে’।

গোপিনাথপুর ইউপি সদস্য লিটন জোয়াদ্দার বলেন, ‘আমাদের এলাকায় চলমান রাস্তার কাজটি খুবই নিম্নমাণের হচ্ছে। ঠিকাদার কাজে ফাঁকি দিচ্ছে। পা দিয়ে চাপ দিলেই রাস্তার পাথর উঠে যাচ্ছে। ঠিকাদারকে এবিষয়ে অবগত করলেও তিনি কর্ণপাত করছেন না। আমি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে অবগত করেছি। এ কারণে ঠিকাদার আমাকে ফোনে বলেন- আমি কারো পরোয়া করি না’।

তবে জনসম্মুখে কর্মকর্তাদের কাজের মাণ ঠিক আছে- এমনটি বুঝাতেই ব্যস্ত থাকতে দেখা গেছে ঠিকাদারকে। তবে সাংবাদিকদের সাথে অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে অনীহা প্রকাশ করেন ঠিকাদার।

অভিযোগের ভিত্তিতে পরিদর্শন শেষে সরেজমিনেই রাস্তার কাজে হওয়া ক্রুটিগুলো সংশোধন করতে সংশিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন জয়পুরহাট জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী আলাউদ্দীন হোসেন।

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ