ঢাকা, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬

লালমোহন কামার পট্টিতে দম ফেলানোর সময় নেই

প্রকাশনার সময়: ০৬ জুলাই ২০২২, ১৬:২৮

ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র কয়েকদিন। এতে করে মহা ব্যস্ত কর্মকার পাড়া। যেন দম ফেলার সময় নেই কর্মকারদের। কোরবানির পশু জবাই এবং মাংস কাটার জন্য দিন-রাত একাকার করে ভোলার লালমোহনের কর্মকাররা ছুরি, চাকু, চাপাতি, দা ও বঁটি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। আর এতে করে টুং-টাং শব্দে মুখর হয়ে উঠেছে উপজেলার কামার পাড়াগুলো।

উপজেলার বিভিন্ন কামার পট্টি ঘুরে দেখা যায়, কামারপাড়ায় আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে চাহিদা বেড়েছে বিভিন্ন লোহার সামগ্রীর। ঈদকে সামনে রেখে কয়লার আগুনে রক্তিম আভা ছড়িয়ে লোহায় পড়ছে হাতুড়ির আঘাত। আঘাতে আঘাতে রূপ নিচ্ছে ছুরি, চাকু, চাপাতি, দা ও বঁটিসহ হরেক রকমের জিনিসপত্র। ঘাম ঝরিয়ে ছুরি, চাকু, চাপাতি, দা ও বঁটিতে রূপ দেয়া এসব লৌহজাত বস্তুতে শান দিচ্ছেন কেউ, কেউ বা আবার অন্য সহকর্মীর কাজে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছেন। কার্মকারদের তৈরিকৃত এসব লৌহজাত সামগ্রী বিক্রি হচ্ছে পাইকারি ও খুচরা। যা আকারভেদে ১ শত থেকে ৬ শত টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। পুরাতন চাপাতি, ছুরি, দা শান দিচ্ছেন যা আকারভেদে ৪০- ১০০ টাকা পর্যন্ত।

লালমোহন পৌরশহরের সুমন ও তাপস কর্মকার জানান, দিন দিন আমাদের বেচা-বিক্রি বাড়ছে। এরমধ্যে শান দেয়ার কাজ অনেকটা বেশি। সব মিলিয়ে এবছর অনেক ভালো আয় হচ্ছে আমাদের। সামনের দিনগুলোতে আরও বিক্রি বাড়বে বলে আশা করছি।

সৈনিক বাজারের পরিমল কর্মকার জানান, করোনার কারণে বিগত কয়েক বছর তেমন লাভ না হলে এবার মোটামুটি ভালো হচ্ছে। পেছনে ক্ষতিগুলো পুসিয়ে উঠতে পারবো।

গজারিয়া বাজারের গণেশ ও শ্যামল কর্মকার বলেন, ঈদকে সামনে রেখে মানুষ আমাদের কাছ থেকে তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে নিচ্ছেন। গত কয়েক বছর করোনার কারণে ব্যবসা খারাপ হলেও এবছর আগের তুলনায় বিক্রি অনেকটা ভালো। এতে করে দৈনিক ৮-১০ হাজার টাকা বিক্রি করতে পারছি।

কামার পট্টিতে ছুরি ও দা কিনতে আসা সবুজ নামের এক ক্রেতা বলেন, আগের ছুরি ও দা নষ্ট হয়ে গেছে। যার জন্য নতুন করে ২৫০ টাকা দিয়ে একটি দা ও ১২০ টাকা দিয়ে একটি ছুরি কিনেছি। আর পুরানো চাপাতিটি শান দিতে এসেছি।

উপজেলা কর্মকার সমিতির সভাপতি বাবুল কর্মকার বলেন, পৌরসভার ৬টি ও গ্রামের বিভিন্ন হাট-বাজারে অন্তত ৩০-৩৫টি কর্মকারের দোকান রয়েছে। ঈদকে পুঁজি করে কেউ যেন ক্রেতাদের কাছ থেকে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত দাম না রাখে সে জন্য সকলকে বলে দেয়া হয়েছে। আমরা এ বিষয়ে নিয়মিত খোঁজখবর রাখছি।

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ