রাজশাহীতে মাত্র দুইদিনের ব্যবধানে একই কায়দায় দুই খুনের ঘটনা ঘটেছে। স্কুলছাত্র সানি হত্যার রেশ কাটতে না কাটতেই মাদকের ঘটনায় মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে মহানগরীর বেলদারপাড়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এলাকায় রেলওয়ের ওয়েম্যান পদে কর্মরত সোহেল রানাকে কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আহত একজনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহত সোহেল রানা নগরের ১৯ নং ওয়ার্ডের শিরোইল কলোনি এলাকার আব্দুল করিমের ছেলে। আহতের নাম ফারুক হোসেন। তাকে হাসপাতালে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
স্কুলছাত্র সানি হত্যার জের কাটতে না কাটতেই রাজশাহী নগরীতে রেল কর্মচারি কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় নগরীতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পবিত্র ঈদুল আজহার আগে এ ধরনের ঘটনায় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই এলাকার বাংলা মদ ব্যবসায়ী টগরের বাড়িতে মদ কেনা নিয়ে সোহেল ও ফারুকের দ্বন্দ্ব-সংঘাত বাঁধে। এ সময় তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে টগরের বাড়ি থেকে বের হয়ে ফারুক সোহেলকে কুপিয়ে জখম করে বলে জানা গেছে। এতে তিনি গুরুতর আহত হয়। ঘটনার সময় উভয়ের ধস্তাধস্তি করলে রাস্তার উপর পড়ে গিয়ে ফারুকও আহত হয়। এ সময় দুইজনই মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। পরে স্থানীয়রা দুইজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহেলকে মৃত ঘোষণা করেন।
বোয়ালিয়া থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম ঘটনার সতত্য নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান, কীভাবে সোহেল নিহত ও ফারুক আহত হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে উভয়ের মধ্যে সংঘর্ষকালে ফারুক সোহেলকে ছুরিকাঘাত করেছে। কিন্তু ফারুক বলছেন তারা গাড়ির ধাক্কায় আহত হয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে নিশ্চিত হওয়ায় যাবে।
প্রসঙ্গত, গত রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে পূর্বশত্রুতার জের ধরে নগরীর সবজি পাড়ায় স্কুলছাত্র সানিকে কুপিয়ে জখম করা হয়। রামেকে নিয়ে গেলে সানি মারা যায়। নিহত সানি রাজশাহী পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম ওরফে পাখির ছোট ছেলে। এ ঘটনার দুইদিন পর আবারো একই কায়দায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রাজশাহীতে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এদিকে সানি হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ