রাজশাহীতে হাসপাতাল থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে স্কুলছাত্র সানিকে (১৭) কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৩ জুলাই) এ ঘটনায় রাতেই নিহত সানির বাবা রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে আট জনের নাম উল্লেখ করে বোয়ালিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তদন্তের স্বার্থে এই মামলার আসামিদের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ।
এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ করেছে সানির সহপাঠিরা। সহপাঠি ও স্থানীয়দের অংশগ্রহণে সোমবার দুপুরে নগরীর রেলগেট থেকে সানি হত্যার বিচার চেয়ে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজশাহী নগরের হেতেম খাঁ সবজিপাড়া এলাকায় সানিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। নিহত কিশোরের নাম মো. সানি। নগরের বোয়ালিয়া থানার দড়িখরবোনা এলাকার বাসিন্দা রাজশাহী পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সহসভাপতি রফিকুল ইসলাম ওরফে পাখির ছোট সানি। এবার সে এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।
বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম জানান, পূর্বশত্রুতার জের ধরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় নিহত কিশোরের বাবা হত্যা মামলা করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশী তৎপরতা চলছে। তিনি আরো বলেন, সানির মরদেহ রাতেই ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সোমবার সকালে মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার দুপুরের পর মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, রোববার রাতে সানি তার আরেক অসুস্থ বন্ধুকে দেখতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যায়। এ সময় কয়েকজন যুবক হাসপাতাল থেকে তাকে তুলে নিয়ে যান। পরে তারা সানিকে হেতেম খাঁ সবজিপাড়া এলাকায় নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে রাস্তার পাশে ড্রেনে ফেলে চলে যান। পরে স্থানীয় লোকজন সানিকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত সানির বাবা রফিকুল ইসলাম বলেন, রোববার তার ছেলে সানির ১৭তম জন্মদিন ছিল। তিনি সন্ধ্যায় ৩৫০ টাকা দিয়ে জন্মদিনের কেক কিনে দিয়েছিলেন। পরে বন্ধুদের নিয়ে সানি জন্মদিন পালন করে। খেলতে গিয়ে সানির এক বন্ধু আহত হয়েছিল। জন্মদিন পালন শেষে রাতে সানি তার বন্ধুকে দেখতে হাসপাতালে যায়। সেখান থেকে তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনার বিচার দাবি করেন তিনি।
নয়া শতাব্দী/জেআই
মন্তব্য করুন
আমার এলাকার সংবাদ