ঢাকা, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কোরবানির হাঁট কাপাবে তুফান-নয়ন তারা

প্রকাশনার সময়: ০৪ জুলাই ২০২২, ১৬:৫৪

বাঙ্গালীর দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদুল আজহা (কোরবানির ঈদ)। তাই গরু তৈরিতে ব্যস্ত খামারীরা। ডিজিটালের আলোকবর্তিকা গ্রাম জনপদকে ছুঁয়ে গেলেও কোরবানির হাটে গিয়ে দেখেশুনে কোরবানির গরু না কেনার কথা ভাবাই যায় না। এখন গরুর খামারীদের ব্যস্ততা শুধুই কোরবানির ঈদকে ঘিরে।

প্রতি বছর কোরবানির ঈদের আগে ওজন এবং দামে আলোচনায় উঠে আসে নানা বাহারি নামের গরু। এবার সেই তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার নয়ন তারা ও গৌরীপুরের তুফান। তবে বন্যার কারণে ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে কিছুটা শঙ্কিত খামারীরা।

শাহিওয়াল এবং হলস্টেইন ফ্রিজিয়ান জাতের দুটি ষাঁড় চার বছর ধরে লালন পালন করে আসছেন ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়ার নয়ানবাড়ির খামারী আব্দুর রাজ্জাক এবং গৌরীপুরের চরশ্রীরামপুর গ্রামের খামারী আল-আমীন। নয়ন তারা দৈর্ঘ্যে ১০ ফুট এবং প্রস্থে সাড়ে ৫ ফুট, ওজন প্রায় ২৫ মণ। আচরণেও বেশ শান্তসৃষ্ট। দাম হাঁকা হচ্ছে ১৫ লাখ টাকা। উত্তেজিত তুফান দৈর্ঘ্যে ১০ ফুট এবং প্রস্থে সাড়ে ৫ ফুট, ওজন ৩০ মণ। দাম হাঁকছেন ১৭ লাখ টাকা।

গৌরীপুর উপজেলার নাফিসা এগ্রো প্রোডাক্ট লিমিটেডের পরিচালক মুফতি আল-আমীন বলেন, আমাদের খামারে প্রায় দুই শতাধিক গাভি রয়েছে। সেই গাভির বাচ্চা হচ্ছে তুফান। তার আচার আচরণ উশৃঙ্খল হওয়ায় নাম রাখা হয়েছে তুফান। তুফান ছাড়াও কোরবানির জন্য প্রস্তত রাখা হয়েছে আরো সাতটি ষাড়। তবে সবগুলোর মধ্যে আকর্ষণীয় হচ্ছে তুফান। তুফানের দাম হাঁকা হচ্ছে ১৭ লাখ টাকা। এবার ঈদে যদি বাহির থেকে গরু না আসে তবেই হয়তো আমরা আমাদের প্রকৃত মূল্য পাবো।

ফুলবাড়ীয়া উপজেলার খামারী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গত চার বছর আগে স্থানীয় বাজার থেকে বেশ কয়েকটি ষাড় গরু কিনেছিলাম খামারের জন্য। অন্য ষাড়গুলো বিক্রি করে দিলেও শান্ত নয়ন তারাকে রেখে দেই। এখন প্রতিদিন তার পেছনে প্রায় ১৫শ’ টাকা খরচ হয়। তাই কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে টার্গেট নিয়েছি বিক্রির জন্য। তবে চিন্তার কারণ হচ্ছে দেশের যে অবস্থা গরুর ন্যায্য দাম পাওয়া নিয়ে। সম্পন্ন প্রাকৃতিক খাবার খাইয়ে বড় করা ষাড়টি যে কোনো ক্রেতাকে আকৃষ্ট করবে আশা করি।

গরু লালন পালনকারী মো. সুরুজ্জামান ও খাইরুল ইসলাম বলেন, বেশ কয়েক বছর ধরে নিজের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে ষাড়গুলোকে লালন পালন করেছি। ঈদে বিক্রি হয়ে যাবে সেটি ভাবতেই খুব খারাপ লাগছে। তবুও আশাকরি মালিক পক্ষ ষাড়ের ন্যায্য দাম পাবেন। আকর্ষণীয় ষাঁড়গুলোকে দেখতে প্রতিদিনই ভিড় জমাচ্ছেন উৎসুক জনতা।

প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক ডা. মনোরঞ্জন ধর বলেন, ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায় খামারী এবং কৃষক পর্যায়ে কোরবানির জন্য প্রস্তত করা হয়েছে ৫ লাখ ৫৮ হাজার গবাদিপশু। যা চাহিদার তুলনায় প্রায় দুই লাখ বেশি। এবারও ক্রেতাদের চাহিদা এবং সুবিধার কথা চিন্তা করে হাটের পাশাপাশি অনলাইনে গরু কেনা বেচার মাধ্যম রাখা হবে। হাটগুলোতে থাকবে প্রাণিসম্পদের মেডিকেল টিম। বাইর থেকে দেশে গরু আসবে না। তাই আশা করি খামারীরা ন্যায্য মূল্য পাবেন।

নয়া শতাব্দী/জেআই

নয়া শতাব্দী ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আমার এলাকার সংবাদ